• মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
ডিসেম্বরকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় নির্বাচনেরই প্রস্ততি নিচ্ছে ইসি দদুর্নীতির বড় অভিযুক্তরা পাশের দেশে আছেন: দুদক চেয়ারম্যান এবারও আসছে তীব্র তাপপ্রবাহ, নেই তেমন প্রস্তুতি লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যে সাবেক এমপি চয়নকে গ্রেফতার করলো পুলিশ হাওরে কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ‘ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ২৫ কর্মকর্তার লকারই পায়নি দুদক কৃষিঋণ বিতরণ কমায় বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

চারটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন

Reporter Name / ১৪৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থলে, উইকম, বাংলাদেশ লিড ও আনন্দের বাজারের গ্রাহকরা ফেরত পাবেন আটকে থাকা টাকা। বৃহস্পতিবার এসএসএলসহ অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা চারটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমরা রোববার রাতে বৈঠক করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কার কাছে কত টাকা আছে তার একটা তালিকা তারা আজ কালের মধ্যেই জমা দেবে। এরমধ্যে থলে, উইকম, বাংলাদেশ ডিল ও আনন্দের বাজারকে আজকের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। আশা করছি এই সপ্তাহ বা আগামী ৩ মার্চ আমরা তিন চারটা প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করতে পারবো। অভিযোগের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ২৫ টি ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ৫৫৯ কোটি টাকা আটকে আছে। আমরা এখন মিটিং করে সেগুলো ভেরিফাই করছি। তিনি জানান, উইকম, থলে, বাংলাদেশ লিড ও আনন্দের বাজার তারা আমাদের কমিটমেন্ট করে গেছে। তবে তাদের অ্যামাউন্ট খুব বেশি না। থলের প্রায় এক কোটি টাকা, উইকমের সাড়ে ৯ লাখ টাকা, আনন্দের বাজারের আছে ৩৬ লাখ টাকা। তাদেরকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তারা এ সময়ের মধ্যের প্রতিবেদন ও তালিকা দেবে। না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। তারা এখনও ব্যবসা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন জব্দ করা টাকা যা আছে সেটা দেওয়ার পর পরিস্থিতি যদি সম্মতি দেয় তাহলে ব্যবসা করতে পারবেন। এ ছাড়া আলাদীনের প্রদীপের মালিককে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে কোনো নেটওয়ার্কে পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ২৫ টি ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের ৫৫৯কোটি টাকা আটকে আছে এসএসএল সহ বিভিন্ন গেটওয়ে পেমেন্টে। গত দেড় মাসে তিনটি ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের ৪০জন গ্রাহককে ৮৬ লাখ ১২ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি এসএসএল গেটওয়ে পেমেন্টে দালাল প্লাসের ১ কোটি টাকা আটকে আছে। সেখান থেকে আজকে ১০ জন গ্রাহককে ১৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হলো। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এসএসএল কমার্স ও আলেশামর্ট যৌথভাবে যে তালিকা করেছে সেখানে মোট গ্রাহক ৪৮৫ জন, মোট ট্রাঞ্জেকশন ১১৪৩ টি। মোট অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ১৩৬ টাকা। এরমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ১০ জনকে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৬ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২৪ জানুয়ারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকমের ফষ্টারপেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আটকে থাকা টাকার মধ্যে ২০ জন গ্রাহককে ৪০ লাখ ২ হাজার ৪১৩ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। কিউকম ডটকমের ৬ হাজার ৭২১ জন গ্রাহকের ক্রয়াদেশের বিপরীতে ৫৯ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সার্বিকভাবে আমার যেটা মনে হয়, ইকমার্সের যে অস্থির অবস্থা। সেখান থেকে পর্যায় ক্রমে আমরা বেরিয়ে আসছি। আমরা সারা বছর এ কাজ করতে পারবো না এজন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইকমার্স প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দিচ্ছি। তারা যোগাযোগ করে একটা প্রসেসের মধ্যে আসুক। তিনি বলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান কোনোভাবে যোগযোগ না করে বা তাদের প্রতিনিধি যদি এখানে পজেটিভভাবে না আসে। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা আছে ৩১ মার্চের পর তাদের বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকবে এটা আমরা চাই না। তারা পালিয়ে যাবে সেটা ভিন্ন বিষয়। অথবা তারা জেলের মধ্যে থাকবে। আমরা হার্ডলাইনে যাবো ৩১ মার্চের পর। যারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবে আমাদের কাছে সাহায্য চাইবে তাদের আমরা আইনানুগ সাহায্যের চেষ্টা করবো। কিন্তু দেশের ভেতর থেকে লুকোচুরি করবে সেটা হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category