ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন এ গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন। অপর দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান। এদিন মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার বাদী নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিন জন আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৪ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি মামলাটির নথি গায়েবের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া। নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে। পরে আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘এ রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনার এতদিন পরও বিচার না হওয়া দুঃখজনক। মনে হয় এর পেছনে একটি চক্র রয়েছে। আমরা চাই এই চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।’ গত ২৩ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রাম্পসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। এতে মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনও বাধা থাকে না। আদেশ নিম্ন আদালতে পাঠাতে বলেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেই আদেশ আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। ধারণা করা হয়, মাঝপথেই তা হারিয়ে গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে কৃষকের লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট সময়ঃ ০৮:১৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন এ গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন। অপর দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান। এদিন মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার বাদী নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিন জন আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৪ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি মামলাটির নথি গায়েবের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া। নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে। পরে আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘এ রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনার এতদিন পরও বিচার না হওয়া দুঃখজনক। মনে হয় এর পেছনে একটি চক্র রয়েছে। আমরা চাই এই চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।’ গত ২৩ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রাম্পসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। এতে মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনও বাধা থাকে না। আদেশ নিম্ন আদালতে পাঠাতে বলেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেই আদেশ আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। ধারণা করা হয়, মাঝপথেই তা হারিয়ে গেছে।