• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

জ¦ালানির মতো খাদ্যশস্যের দামও বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী

Reporter Name / ৩৬৯ Time View
Update : বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে জ¦ালানির দাম যেভাবে বাড়ছে, ঠিক একইভাবে খাদ্যশস্যের দামও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বুধবার দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এলএমজি (তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস) নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইনফ্লেশন (মুদ্রাস্ফীতি) আমাদের ধারণার মধ্যেই আছে। ওভারঅল ইনফ্লেশন বাড়েনি। আমরা প্রতিনিয়ত ইনফ্লেশন পর্যালোচনা করেই আপডেট নিই। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে জ¦ালানির দাম যেভাবে দাম বাড়ছে খাদ্যশস্যের দামও সেভাবে বাড়ছে। তিনি বলেন, ডলারের প্রাইজ তো আমরা ফিক্স করে রাখিনি, এটা ফিক্সড না। এটা ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের ওপর ডিপেন্ড করে। ডিমান্ড যদি বেশি থাকে আর সাপ্লাই যদি কম থাকে তাহলে ডলারের দাম বাড়বে। এটা স্বাভাবিকভাবেই এডজাস্ট করে নেয়। অতীত থেকে আমরা যেভাবে করে আসছি, সেভাবেই হয়ে আসছে। এখানে আইএমএফ কী বলেছে, আমি জানি না। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আইএমএফ পরামর্শ দিতে পারে, কারণ তারা আমাদের ডেভলপমেন্ট পার্টনার। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে তারা ওতোপ্রতভাবে জড়িত। কিন্তু তারা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে বলতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আমাদের নিজস্ব যে প্যাগড কারেন্সি সেটি ফ্ল্যাক্সিবলই আছে। ডলার বেচাকেনা কিভাবে হয়, ব্যাংকগুলোর কাছে যখন ডলারের পরিমাণ বেশি থাকে তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু ডলার কিনতে পারে। অন্যান্য দেশেও এমনটা হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশে এটা ফিক্সড করা থাকে, মার্কেট আপগ্রেড করুক বা না করুক, ফিক্সড রেটেই নিতে হবে। আমাদের দেশে এমন নয়। শেয়ারবাজারে লাভের পাশাপাশি ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বেই শেয়ারবাজার একইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। লাভের জন্য আপনি আসবেন, কিন্তু ঝুঁকির বিষয়টিও আপনার মাথায় রাখতে হবে। শেয়ারবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় আমাদের যে দায়িত্ব সেটা পালন করবো। সেটা হলো সরকারের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দেওয়া, এটি সরকার দিয়ে যাবে। তবে কেউ যদি অনেক লাভের জন্য কোনো কিছু চিন্তা না করেই বিনিয়োগ করেন তাহলে তো হবে না। বাজারেরও তো একটি ভিত্তি আছে, সেটা হলো অর্থনীতি। তাই অর্থনীতি যতো শক্তিশালী হবে ততই শেয়ারবাজার শক্তিশালী হবে। অন্য কোনোকিছু দিয়ে এটিকে প্রভাবিত করার সুযোগ নেই। আমি সবসময় বলি সবাই বুঝে শুনে বাজারে আসবেন। বাজারটিতে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে। দৈনিক উঠানামা করছে। সুতরাং এটা অনেক বেশি সেনসিটিভ। এই জায়গাটিতে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা শেয়ারবাজারের সঙ্গে জড়িত তারা এটি সম্পর্কে জানেন। তারা বুঝে শুনেই বাজারে এসেছেন। সরকার যেখানে যা দরকার তা করছে। এখানে যে সাপোর্ট দরকার সেটিও দেওয়া হচ্ছে। বাজেটে তাদের সাপোর্ট দিয়েছি। তার বাইরে গিয়ে কেউ যদি কিছু করে তাদের কিন্তু সরকার দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে পারে না। সরকারি ২৬ প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, একবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, বিভিন্ন কারণে সেটি হয়নি। বাজারে যখন কোনো ভালো শেয়ার থাকে না তখন একদিকে মার্কেট বেশি চলে যায়। সারাবিশ্বে এটি হয়। সেজন্য এমন সমস্যা থাকলে সরকার বাজেট দিয়ে বাজার ভারসাম্য রাখে। সেজন্য আমরা উদ্যোগটি নিয়েছিলাম। দেখা গেলো যে আমাদের মার্কেটে যে পরিমাণ শেয়ার থাকা দরকার ছিলো সেটি আছি। সেজন্য সরকারকে আর সেই কাজ করতে হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category