নিজস্ব প্রতিবেদক :
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জি কে শামীমের মা আয়েশা আকতারের আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেননি হাইকোর্ট। তাকে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে গতকাল সোমবার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেসমিন নাহার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত গতকাল সোমবার জি কে শামীমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেসমিন নাহার বলেছিলেন, গত রোববার হাইকোর্টে জামিন আবেদনটি এফিডেবিট করলেও অসুস্থতার কারণে পরদিন (নট দিস উইক) এ সপ্তাহ নয় বলে আবেদন জানানো হয়। আদালত সেটি গ্রহণ করে নির্দেশনা দিয়েছেন। গত ১৬ নভেম্বর জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর দুদক জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জি কে শামীম ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া শামীমের বাসা থেকে উদ্ধার নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও সাত লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক। অনুসন্ধানে জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎসও খুঁজে না পাওয়া মামলাটি করে দুদক। ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ রাজধানীর ঠিকাদারির মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাব। নিকেতন এ-ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে র্যাব দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় তার অফিস থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষঃ
জি কে শামীমের মাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
-
দৈনিক আইন বার্তা
- আপডেট সময়ঃ ০৮:১০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
- ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ