• বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
গুইমারায় ট্রাক ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতি’র শুভ উদ্বোধন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত পুলিশসহ সব সরকারি কর্মকর্তাকে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা বিদ্বেষপূর্ণ খালেদা জিয়া-তারেকসহ সব আসামি খালাস পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার কাজ চলছে: আইজিপি পদত্যাগ করলেন টিউলিপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচারের আশা আইন উপদেষ্টার বিপুলসংখ্যক গাড়ির ইঞ্জিন ভেজাল জ্বালানি তেলে নষ্ট হলেও পর্যাপ্ত নজরদারি নেই বছরের পর বছর নিলামের অপেক্ষায় কয়েক হাজার পণ্যভর্তি কনটেইনার

টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের এনআইডি, গ্রেপ্তার ১০

Reporter Name / ১৬৮ Time View
Update : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে এক লাখ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তারা হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের নাগরিক। আর এ এনআইডি ব্যবহার করে অনেকে সংগ্রহ করছেন বিদেশ যাওয়ার পাসপোর্টও। এমন অভিযোগে রোহিঙ্গা, এনআইডি করে দেওয়ার দালাল ও নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কর্মচারীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, কামাল হোসেন, সোনা মিয়া, মো. কামাল, নুরুল আবছার, সামসু মাস্টার, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অস্থায়ী কর্মচারী-পাঁচ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ইয়াসিন আরাফাত, নূর নবী, মিজানুর রহমান, ফরহাদুল ইসলাম ও ইমন দাশ। তাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা হয়েছে। পুরো চক্রে জড়িতদের শনাক্তে গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিএমপির উপকমিশনার (গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ আলী হোসেন। আজ বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কিছু কর্মচারীর সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র মোটা অংকের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্ট করে দিচ্ছেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার নগরীর হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ওই চক্রের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে কয়েকজন রোহিঙ্গা এনআইডি করতে এসেছিলেন। গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে এনআইডি করে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে সামসু মাস্টার রোহিঙ্গাদের এনআইডি করে দেওয়ার দালালের কাজ করেন। তিনি একেকটি এনআইডি করে দিতে একেক জনের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নেন। সামশু এরপর দালাল নুরুল আবছারকে দিয়ে রোঙ্গিাদের জন্ম নিবন্ধন নিয়ে দেন। আবছার ঢাকায় একটি চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর ওই জন্মনিবন্ধন দিয়ে এনআইডি করেন। ইসির সার্ভারেও এনআইডিটি পাওয়া যায়। উপ-কমিশনার আলী হোসেন বলেন, দালাল সামসু মাস্টার ও নুরুল আবছার এর আগেও কক্সবাজারে এনআইডি জালিয়াতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আবার একই জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় নতুন করে মামলা করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category