ঢাকা ০১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রফিকুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানী মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা। গতকাল শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মোতালেব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম এ চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মো. আদনান শান্তু নামে একজন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এর আগের দিন ৭ এপ্রিল ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে র‌্যাবের ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় মামলা করেন। ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, রফিকুল ইসলামের মোবাইল জব্দ করে সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তার মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও দেখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের কয়েকটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রফিকুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট

আপডেট সময়ঃ ০৮:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানী মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা। গতকাল শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মোতালেব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম এ চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মো. আদনান শান্তু নামে একজন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এর আগের দিন ৭ এপ্রিল ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে র‌্যাবের ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় মামলা করেন। ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, রফিকুল ইসলামের মোবাইল জব্দ করে সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তার মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও দেখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের কয়েকটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।