নিজস্ব প্রতিবেদক :
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে এবং ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে পরিচালিত কার্যক্রম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ হতে সরেজমিনে সরাসরি তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বুধবার দুপুরে নিউমার্কেট-গাউসিয়া ফুটওভার ব্রিজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মেয়র বলেন, এডিস মশার প্রজনন এবং বিস্তারের এটা ভরা মৌসুম। এজন্য আমরা অগ্রিম নিয়ন্ত্রণকক্ষ খুলেছি এবং নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আমরা সরেজমিনে সরাসরি তদারকি করছি। যে জায়গায় আমরা তথ্য (এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কে) পাচ্ছি, রোগীর (ডেঙ্গু) ঠিকানা পাচ্ছি, সেসব জায়গায় গিয়ে আমরা প্রথমে উৎসস্থলগুলো ধ্বংস করছি। সেখানে সকালে লার্ভিসাইডিং করছি এবং বিকেলে পুরো ৩০০ গজ এলাকা নিয়ে আমরা ফগিং করে দিচ্ছি, যাতে করে এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধ করতে পারি। গতবারের তুলনায় এবছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের চাইতেও কম উল্লেখ করে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, গত বছরের এই সময় যেই সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গিয়েছিল, এবার তার অর্ধেকেরও নিচে পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে আমাদের দিনব্যাপী যে কার্যক্রম, সে কার্যক্রমের সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এর আগে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সংলগ্ন রাস্তা পরিদর্শন, বকশীবাজার জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার আড়ত পরিদর্শন করেন। যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার আড়ত পরিদর্শনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।