• শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
গুইমারায় ট্রাক ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতি’র শুভ উদ্বোধন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত পুলিশসহ সব সরকারি কর্মকর্তাকে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা বিদ্বেষপূর্ণ খালেদা জিয়া-তারেকসহ সব আসামি খালাস পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার কাজ চলছে: আইজিপি পদত্যাগ করলেন টিউলিপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচারের আশা আইন উপদেষ্টার বিপুলসংখ্যক গাড়ির ইঞ্জিন ভেজাল জ্বালানি তেলে নষ্ট হলেও পর্যাপ্ত নজরদারি নেই বছরের পর বছর নিলামের অপেক্ষায় কয়েক হাজার পণ্যভর্তি কনটেইনার

ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

Reporter Name / ৪৩০ Time View
Update : বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও ঢাবি শিক্ষক আয়েষা মাহমুদাকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া এবং আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় এ রুল জারি করেন আদালত। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারী ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আয়েষা মাহমুদ ও তার পক্ষের আবেদনকারী আইনজীবী মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রুলে আদালতের আদেশ পালন না করায় বিবাদীদের (বর্তমান ও সাবেক দুই ভিসিসহ চারজনের) বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ঢাবির বর্তমান ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আছরারুল হক, তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান চৌধুরী। আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মো.আছরারুল হক জানান, ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৎকালীন রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমান ওই বছরের মে মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষককের পদোন্নতি দেন। সিনিয়র হওয়ার পরও পদোন্নতি না পেয়ে একই বিভাগের অপর শিক্ষক আয়েষা মাহমুদ ২০০৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে ২০০৬ সালের মে মাস থেকে পদোন্নতি দিয়ে জ্যেষ্ঠ পদমর্যাদার সব সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওই তিন শিক্ষকের পদোন্নতির আদেশ বাতিল করা হয়। এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপিল করে। আপিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রিটিসহ ২০০৬ সাল থেকে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল থাকলেও আয়েষা মাহমুদের কোনো ক্ষতি হবে না। এরপর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল রায় দেন। হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আয়েষা মাহমুদকে নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। আইনজীবী আছারারুল হক বলেন, আদালতের আদেশের পরও ঢাবি কর্তৃপক্ষ কৌশলে আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রটি হিসেবে দুই নম্বরে রাখলেন। কিন্তু সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে থাকা ওই তিন শিক্ষকের একজন চেয়ারম্যান হয়েছেন। ফলে তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার রুল জারি করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category