নিজস্ব প্রতিবেদক :
সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের ঘটনায় এক দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্তের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগে করা রিটে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনকে সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত। আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম আলমগীর পারভেজ ভূঁইয়া। নিজেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক দাবির অভিযোগ এনেছিলেন সস্ত্রীক পিরোজপুরের জেলা রেজিস্টার মো. আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার। পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, দুদকের একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীর তদন্ত করার সময় আসামিপক্ষের কাছে অনৈতিকভাবে টাকা দাবি করেছিলেন বলে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দেন দুদকের মামলার দুই আসামি ঢাকা জেলার সাবেক সাব রেজিস্ট্রার এবং বর্তমানে পিরোজপুরের রেজিস্ট্রার মো. আবদুল কুদ্দস হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম। তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের এ আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তারা। আদালত রুল জারি করেন। পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে হলফনামার মাধ্যমে রুলের জবাব দিতে বলেন এবং রিটকারীদের বিরুদ্ধে রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তদন্ত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। সে অনুসারে তিনি হাজির হয়েছিলেন। আজ সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন। রায়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে এ মামলার তদন্ত কার্য থেকে প্রত্যাহার করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে মোবাইলে যোগাযোগের বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।