• রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

দীর্ঘদিন আগে চুক্তি সই হলেও ভারত থেকে এলএনজি আমদানিতে স্থবিরতা কাটছে না

Reporter Name / ১১৯ Time View
Update : শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারত থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য ৯ মাস আগে ভারতীয় কোম্পানি এইচ এনার্জির সঙ্গে চুক্তি সই হলেও এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি পেট্রোবাংলা। ফলে ভারত থেকে এলএনজি আমদানির স্থবিরতাও কাটছে না। চুক্তির আওতায় মূলত ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। ওই সময় এইচ এনার্জির পক্ষ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ গ্যাস রফতানির বিষয়ে জোর দিয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনো ভারত থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। তাছাড়া পেট্রোবাংলা এখন চুক্তিসংক্রান্ত দুদেশের নানা বিষয়ও পর্যালোচনা করছে। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এলএনজি আমদানির বিষয়ে এইচ এনার্জি-পেট্রোবাংলা চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পারলেও বাংলাদেশে গ্যাস রফতানির বিষয়ে ভারতীয় কোম্পানিটি তাদের কাজ অনেকটাই এগিয়ে রাখতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ভারতের প্রকল্প এলাকায় পাইপলাইন নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানা যায়। প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২২ সালে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করতে না পারলেও এইচ এনার্জির পাইপলাইন নির্মাণকাজে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এইচ এনার্জি বাংলাদেশে বার্ষিক দুই মিলিয়ন টন পর্যন্ত এলএনজি রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এলএনজি সরবরাহের লক্ষ্যে এইচ এনার্জি রাজ্যটির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কানাই চট্টায় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করছে। সেখান থেকে গ্যাস সরবরাহের জন্য দীর্ঘ ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন। সেখান থেকে পেট্রোবাংলার সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের খুলনায় ওই গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। ভারত থেকে গ্যাস রফতানির জন্য এইচ এনার্জি পাইপলাইন নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিলেও বাংলাদেশ অংশে এখনো তার কাজ শুরু হয়নি। আর বাংলাদেশে এখনো পাইপলাইন নির্মাণ কাজের কোনো অগ্রগতি না হাওয়ায় এলএনজি আমদানি চুক্তি করা হলেও খুব দ্রুত ভারত থেকে গ্যাস আসার সম্ভাবনাও নেই।
সূত্র আরো জানায়, ভারত থেকে এলএনজি আনার জন্য বাংলাদেশ অংশে যে পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প তার জন্য এখনো অর্থের সংস্থান হয়নি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাতক্ষীরা থেকে খুলনা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করবে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। ওই পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। সাতক্ষীরা-খুলনা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণে প্রকল্পে রুট জরিপকাজ শেষ হয়েছে। ভারতের সঙ্গে জিআইএ সই হওয়া সাপেক্ষে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। ওই প্রকল্পে বিদেশী সহায়তার জন্য প্রস্তাবিতপ্রকল্পের সংশোধিত পিডিপিপি গত বছরের মাঝামাঝিই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। তবে ভারত থেকে কবে নাগাদ বাংলাদেশে গ্যাস আমদানি করা হবে সে বিষয়ে পেট্রোবাংলা স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। বরং এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলার সাথে ভারতীয় কোম্পানির সমঝোতা সই হলেও এখন বিষয়টি রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) দেখবে। আর পাইপলাইন নির্মাণের কাজ করবে জিটিসিএল।
এদিকে এইচ এনার্জি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এলএনজি রফতানির সমঝোতা সই করার সময় জানিয়েছিল, পেট্রোবাংলার সঙ্গে খুব দ্রুতই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হবে। আর তা করার পর ২০২২ সাল নাগাদ এলএনজি রফতানি কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে নির্ধারিত বছরের তিন মাস পেরোলেও এখনো কোনো পক্ষ থেকেই ওই বিষয়ে খুব বেশি নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে দেশে গ্যাস সংকট মেটাতে দীর্ঘমেয়াদি আমদানি চুক্তির পাশাপাশি উচ্চমূল্যে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে। বেশি দাম দিয়ে এলএনজি কিনে কম মূল্যে বিক্রি করায় ইতিমধ্যে পেট্রোবাংলা ব্যাপকভাবে অর্থসংকটে পড়েছে। ফলে আমদানি প্রক্রিয়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে এলএনজি কিনতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা। তারই অংশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে বিদ্যমান দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত এক মিলিয়ন টন গ্যাস কেনার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। যদি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত থেকে এলএনজি আমদানি করা যায় তাহলে দেশের বিদ্যমান গ্যাস সংকট কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category