• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

দীর্ঘ ২ বছর পর আরপিজিসিএল প্ল্যান্টটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ

Reporter Name / ১০৪ Time View
Update : রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘ ২ বছর পর সিলেটের জ¦ালানি তেল পেট্রোল ও ডিজেল এবং এলপি গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্ট (আরপিজিসিএল প্ল্যান্ট) পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আরপিজিসিএল প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ থাকায় সরকারের প্রতি মাসে সাড়ে ৩ কোটি টাকা লোকসান যাচ্ছে। তবে অবশেষে দীর্ঘ দুই বছর পর প্ল্যান্টটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিগত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রাষ্ট্রীয় ওই আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিগত ১৯৯৮ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদর এলাকায় জ¦ালানি তেল পেট্রোল, ডিজেল এবং এলপি গ্যাস উৎপাদনকারী কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হয়েছিল। কৈলাশটিলা এমএসটিই গ্যাস ফিল্ডের খনি থেকে উত্তোলিত এনজিএল (ন্যাচারাল গ্যাস লিকুইড) কাজে লাগাতে পেট্রোবাংলার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আরপিজিসিএল (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লি.) প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হয়। আরপিজিসিএল সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আরপিজিসিএলের উৎপাদিত এলপি গ্যাসের উপর নির্ভর করে স্থাপিত এলপি গ্যাস বটলিং কারখানাও বন্ধ হয়ে পড়ে। একই কারণে কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ এনজিএল পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এনজিএল সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় একে সরাসরি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্টে পাঠাতে হয়। অন্যথায় পুড়িয়ে ফেলতে হয়। আরপিজিসিএল প্ল্যান্ট এনজিএল থেকে পেট্রোল ও এলপি গ্যাস উৎপাদন করে। কিন্তু আরপিজিসিএল প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় গ্যাসফিল্ড এনজিএল পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, কৈলাশটিলা এমএসটিই গ্যাসফিল্ডের খনি থেকে উত্তোলিত এনজিএল (ন্যাচারাল গ্যাস লিকুইড) থেকে পেট্রোল ও এলপি গ্যাস এবং খনিজ গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট থেকে পেট্রোল ও ডিজেল উৎপাদন করে কৈলাশটিলা আরপিজিসিএল প্ল্যান্ট। প্রতিষ্ঠানটি পেট্রোল ও ডিজেল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে এবং এলপি গ্যাস তার পাশেই স্থাপিত এলপি গ্যাস বটলিং কারখানায় সরবরাহ করে। আরপিজিসিএল প্ল্যান্ট দৈনিক ১ লাখ লিটার পেট্রোল উৎপাদন করে থাকে। তাছাড়া ২০-২৫ হাজার লিটার ডিজেল এবং ১৫-১৭ মেট্রিক টন এলপি গ্যাস উৎপাদন করে। পেট্রোল, ডিজেল ও এলপি গ্যাস উৎপাদন থেকে প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ৪০-৪৫ কোটি টাকা আয় হয়। কিন্তু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ। মূলত বিপিসি একটি নির্দিষ্টমানের নিচে পেট্রোল ক্রয় করবে না মর্মে অজুহাত দেখালেই প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও সিলেট পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সংশ্লিষ্টরা বিপিসির এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি।
এদিকে প্ল্যান্ট চালু প্রসঙ্গে জ¦ালানি ও খণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হাফিজুর রহমান জানান, সমস্যা থাকতেই পারে এবং এর সমাধানও বের করতে হবে। সরকারের উন্নয়ন খাতে বিঘœ ঘটে এবং বছরের পর বছর কোনো প্রতিষ্ঠান অচলাবস্থার মধ্যে থাকবে তা হতে পারে না। আশা করা যায় প্ল্যান্ট চালুর ব্যাপারেও সফল হওয়া যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category