নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে খন্দকার সাব্বির আহম্মেদ (২৪) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। তার বিরুদ্ধে গোপনে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ রয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২২ জানুয়ারি একজন ভিকটিম র্যাব-৪ এ পর্নোগ্রাফির বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর র্যাব-৪ এর সাইবার সেল এর তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এর ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার মিরপুর মডেল থানার বশির উদ্দিন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একাধিক নারী ভিকটিমের বিপুল পরিমাণ নগ্ন ছবি, ভিডিও, ইমো ও ম্যাসেঞ্জার কথোপকথনের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির আহমেদ জানান, ভিকটিমের সঙ্গে তার প্রায় এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয়। তখন থেকেই ভিকটিমের সঙ্গে তিনি মাঝে মাঝে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলতেন। ধীরে ধীরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের একপর্যায়ে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুকৌশলে ভিকটিমের নগ্ন ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে এডিট করেন। এসব নগ্ন ছবি, ভিডিও বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পরবর্তীতে ভিকটিম বিয়ের কথা বললে তিনি বিভিন্নভাবে টাল-বাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বিভিন্ন সময় ভিকটিমের কাছে টাকা দাবি করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে ধারণকৃত ছবি-ভিডিও ভিকটিমের আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ভিকটিম সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করলে আসামি ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এ ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে তার কাছে থাকা নগ্ন ছবি-ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেন। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার মোবাইলে ও গুগল ড্রাইভে বিপুল পরিমাণ নগ্ন ভিডিও ও ছবি পাওয়া যায়। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।