নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জ নিয়ে কথা উঠলে বুকে রক্তক্ষরণ হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ নিয়ে যখন বারবার কথা ওঠে যে, এখানে বিভিন্ন নেতিবাচক ঘটনা ঘটে, তখন বুকে রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। আপনারা দেখেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, মেয়র নির্বচন কোনোটাতেই এখানে আল্লাহর রহমতে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।’ আজ রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি। শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ শান্তির শহর। একটি সুন্দর শহর। এখানে শহরের দুই পাশে যেমন নদীর ¯্রােত আছে, মানুষের মধ্যেও ভালোবাসার ¯্রােত আছে। আমি শুধু একটা কথা বলতে চাই, জয় পরাজয় আছে। নির্বাচনে একজন জিতবেন, বাকিরা হারবেন। কিন্তু দেশটা আমাদের সবার। সবাই মিলে দেশটা গড়তে হবে।’ এর আগে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে নাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ১৯২টি কেন্দ্রে চলে ভোটগ্রহণ। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এজন্য নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুর থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনি সামগ্রী পৌঁছানো শুরু হয়। ইসি থেকে জানানো হয়, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনা করবেন। নির্বাচনের প্রধান আকর্ষণ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেনÑবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা ও আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।