• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

নৌপথের নাব্য সঙ্কটে নৌযান চলাচল ব্যাহত

Reporter Name / ৬৯ Time View
Update : শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নাব্য সঙ্কটে নৌপথ। পদ্মা ও যমুনা নদীতে নাব্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নৌপথে চলাচলকারী পণ্য বোঝাই কার্গো জাহাজ চলাচল। দেশের উত্তর অঞ্চলের পণ্য পরিবহনে দৌলতদিয়া নগরবাড়ী বাঘাবাড়ী নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্যবাহী শত শত কার্গো জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু চলতি শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি অস্বাভাবিকভাবে পানি কমে নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি চ্যানেলের পানি গভীরতা কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে একটি জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। নৌ খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পাবনা নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জ বাঘাবাড়ী বন্দরগামী বিভিন্ন মালামাল ডিএসপি সার, পিএসপি সার ভুট্টা, গম, কয়লা বোঝাই কোস্টার জাহাজগুলো গত কয়েক দিন ধরেই গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের এক কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা নদীতে আটকে থাকা কার্গো জাহাজগুলো থেকে ট্রলার ও বাল্ক হেডের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য নামিয়ে গন্তব্য স্থানে নেয়া হচ্ছে। আর এভাবে কয়েকদিন পণ্য খালাস করার পর কার্গো জাহাজগুলো ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি পণ্যসামগ্রীও যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবাহী জাহাজ নিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে চলাচলের নৌপথে নদীর মাঝে বড় বড় ডুবোচর জেগে ওঠেছে। ওসব ডুবোচরে আটকে যায় জাহাজ। ডুবোচরের কারণে নদী পথে ঘুরে আসতে জ্বালানি খরচ ও সময় বেশি লাগছে। আবার ঘাটে এসেও নদীর পারে জাহাজ চাপানো যাচ্ছে না। মাঝ নদীতে জাহাজ আটকে যাওয়ার কারণে সেখানেই রেখেই ট্রলার ও বাল্কডে করে মালামাল অনলোড করতে হচ্ছে। নদীতে পানি থাকলে যেখানে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগতো মাত্র দুই থেকে তিন দিন, নাব্যতা সঙ্কটে সেখানে এখন সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ দিন। আবার ঘাটে এসে মালামাল খালাসের জন্য দুই থেকে তিন দিন থাকতে হয়।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়ার ঘাট শাখার সহকারি ম্যানেজার খোরশেদ আলম জানান, নদীতে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়ার কারণে ফেরিগুলো নদীর ভাটি দিয়ে ঘুরে ঘাটে আসছে। তাতে আগের চেয়ে অনেক সময় বেশি লাগছে। নদীর চ্যানেল ঠিক করতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। নদীতে ওসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ১২ থেকে ১৭ ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category