নিজস্ব প্রতিবেদক :
পি কে হালদারের ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকে ১২ হাজার ১৫৬ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব টাকা ১৭৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া কানাডায় এক কোটি ১৭ লাখ ডলার পাচারের প্রমাণ মিলেছে সংস্থাটি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে পি কে হালদারসহ ১৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক। দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন দ্রুতই আদালতে চার্জশিট জমা দেবেন বলে জানা গেছে। বুধবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পি কে হালদার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ঘনিষ্ঠ সহযোগী অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ ব্যাপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাশ, অনঙ্গমোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। জানা গেছে, প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর তদন্ত করতে গিয়ে এসব সম্পদের সন্ধান পায় সংস্থাটি। দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন মামলার তদন্তে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় একটি গুদামের সন্ধান পান। সম্প্রতি সে গুদামে অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল উদ্ধার করে ওইসব দলিল। গোপন গুদাম থেকে প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ির কয়েকশ দলিল উদ্ধার করে দুদক। প্রাথমিকভাবে যেসব সম্পদ শনাক্ত হয়েছে তাতে জমির পরিমাণ ৬৭৯০ শতাংশ। এর বাজারমূল্য অন্তত এক হাজার কোটি টাকা। চারটি ফ্ল্যাট, প্রায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের ২২টি গাড়ি ও একটি ১০তলা ভবনের সন্ধান পেয়ে আদালতের নির্দেশে সেগুলো জব্দ করে সংস্থাটি। তদন্তের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে পি কে হালদারের মামাতো ভাই শঙ্খ ব্যাপারী, ঘনিষ্ঠ সহযোগী অবন্তিকা বড়াল, কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেপ্তার করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। এ মামলা ছাড়াও পি কে হালদারের জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানে সংস্থার আরেকটি দল অনুসন্ধান করছে। ওই দলটি দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে জালিয়াতির ঘটনায় প্রথম পর্যায়ে গত ২৫ জানুয়ারি হালদারসহ ৩১ জনকে আসামি করে পাঁচটি মামলা করেছে। এসব মামলায় পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও আইএলএফএসএলের সাবেক এমডি রাশেদুল হককে গ্রেফেতার করা হয়েছে।