নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছেন আসামি ফারিয়া বিনতে মিম ওরফে মাইশা। আপিল বিভাগে গতকাল রোববার এমন তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী শেখ মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাত ৮টায় বনানীর একটি অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলার রুমে ভিকটিম মামুন ইমরান খানকে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশে বাঁশের ঝোপের মধ্যে মামুনের লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে রহমত উল্লাহ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, মামুন ইমরান খান টেলিভিশনের বিভিন্ন ক্রাইম সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন। গত ৮ জুলাই রহমতউল্লাকে তার বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দেন আসামি আফরিন। রহমতউল্লাহ ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ বন্ধু মামুনকেও যাওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েই খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন। এরপর তার লাশ গুম করতে বস্তায় ভরে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কালীগঞ্জের জঙ্গলে পেট্রল দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলেন। ১০ জুলাই বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে রহমতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বুধবার তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামুন ইমরান খানের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকুপা এলাকায়। তিনি ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে কাজে যোগ দেন। এ মামলায় ফারিয়া বিনতে মীমকে গত বছরের ১১ অক্টোবর জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পান মিম। এ জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করে। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে উঠে।