• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির দুটি কারণ জানালেন ব্যবসায়ীরা

Reporter Name / ৩৮৩ Time View
Update : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারতের বেশ কয়েকটি প্রদেশে বৃষ্টিপাতের কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা অনেকটা বেশি দামেই ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করছেন। এতে বাংলাদেশেও পেঁয়াজের দামের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের ফরিদপুর এলাকায় সম্প্রীতি বৃষ্টির কারণে দেশি পেঁয়াজচাষিরা মাঠ থেকে দেরিতে ফসল তুলছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি এই দুই কারণেই বাজারে পেঁয়াজের মৌসুমেও দাম বাড়েই চলেছে। কয়েকদিন আগে কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ২০ টাকা কেজি। মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে এখন ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মনোয়ার হোসেন বলেন, ভারতের ইন্দর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র থেকে প্রতিনিয়তই পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কয়েকদিন আগে ওই এলাকাগুলোতে অতিবৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ তুলছেন না। এ কারণে বাড়তি দামে সেখান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের যে প্রদেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয় সেখানে আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ওই এলাকায় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে বন্দরে কিছুটা আমদানি কমে গেছে, ফলে বাজারে খুচরা দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে হিলি বাজারের লুৎফর রহমান বলেন, দু’সপ্তাহ আগেও ২০-২২ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের বাজার আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। বর্তমানে পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী রায়হান কবির জানান, হিলি বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ২৮ ট্রাক পেঁয়াজ প্রয়োজন কিন্তু তার বিপরীতে আমদানি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক। এছাড়াও ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এটা ভারতের পুরানো পেঁয়াজের শেষ সময়। হিলি বাজারে পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ী মিঠু বলেন, বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে তার চেয়ে আমদানি কম হচ্ছে। শুধু ভারতীয় পেঁয়াজ নয় দেশি পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকার ভেদে বর্তমানে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে গত সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৪৩৯ টন পেয়াঁজ আমদানি হয়েছে। তবে গত দু’সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে আমদানি কিছুটা কমেছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, দেশে কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় যাওয়াদের কারণে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর কারণে পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির কারণে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দামে প্রভাব পড়েছে। তবে আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category