নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর বাসিন্দা পাঁচ বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে দেশের বাইরে না নিতে বাবা মুসফেক আলমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, শিশুকন্যাকে সরাসরি মায়ের জিম্মায় দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি নয় সরাসরি দেখা করার সুযোগ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। মুশফেক আলম পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের ছেলে। আর হাইকোর্ট থেকে বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শিশুর প্রতিমন্ত্রীর নাতনি। এর তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্যও (সিনিয়র সচিব) ছিলেন। রিটকারির আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিভিল পিটিশনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হকের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ুম এবং ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন। এর আগে গত ২০ অক্টোবর পাঁচ বছরের কন্যাসন্তানকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টে নির্দেশনা চেয়ে সিভিল পিটিশন আবেদন করেন শিশুর মা তাসনোভা ইকবালের পক্ষে ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন। আবেদনে শিশুটিকে দেড় বছর ধরে মাকে দেখতে না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুকে বিদেশ না যেতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। শিশুর বাবা মুসফেক আলম সৈকত, দাদা ড. শামসুল আলম ও দাদি মোমতাজ আলমকে বিবাদী করে এ আবেদন দায়ের করা হয়। রিটকারী নারী তাসনোভা ইকবালের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন বলেন, মুসফেক আলম ও তাসনোভা ইকবালের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। তাদের পাঁচ বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। কিন্তু দেড় বছর ধরে মা তাসনোভা ইকবালের কাছ থেকে সন্তানকে দূরে রাখা হয়েছে। এই সময়ে তাদের দেখা করতেও দেওয়া হয়নি। এর আগে আমরা বিচারিক (নিম্ন) আদালতে সন্তানকে সরাসরি দেখার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত ভার্চুয়ালি দেখার অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন। কিন্তু মা তাসনোভা ইকবাল শিশুকে নিজের জিম্মায় নিতে চান। এ কারণে আমরা হাইকোর্টে সিভিল পিটিশন আবেদন করি। পিটিশনার রাজধানী গুলশানের বাসিন্দা তাসনোভা ইকবালের বাবা ইকবাল কামাল ও মা নাজমা সুলতানা।