০২:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

ফখরুলকে ইসির দায়িত্ব দিলে তবেই খুশি হবে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৩২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হলে তবেই বিএনপি খুশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে বিএনপি দেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা ইসি গঠনে আইনের কথা বললেও এখন সরকার উদ্যোগ নেওয়ার পর এর বিরোধিতা করছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্যটাই মহৎ নয়। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। যদিও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সে আইন হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সংলাপে বসেছিলেন। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী আইনের মাধ্যমে কমিশন গঠনের কথা বলেছেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও বদিউল আলম মজুমদার, শাহদীন মালিকসহ বেশ কয়েকজন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আইন করার জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন, আইনের একটি রূপরেখাও তারা হস্তান্তর করেছিলেন। তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এখন আইন করতে গেলে খুব তাড়াহুড়ো হবে’। সুশীল সমাজের পরামর্শ ছিল, তাড়াহুড়ো হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি করা হোক। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কদিন আগেই যারা আইনমন্ত্রীকে তাড়াহুড়ো করে হলেও আইন করার কথা বলেছিলেন, তারাই এখন জুম মিটিং করে বলেছেন- তাড়াহুড়া করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না। যারা অধ্যাদেশ করে আইন করার কথা বলেছিলেন, তারা এটাও বলেছিলেন- দুদিনেও অনেক আইন হয়েছে দেশে, একদিনেও অনেক আইন হয়েছে, চাইলে একদিনেও পারা যায়। আজকে যখন সরকার একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তখন তারা আবার নিজেদের দাবির বিপরীতে কথা বলা শুরু করেছেন। বিএনপিও একই কথা বলেছিল। এখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়ার পর তারাও এর বিরোধিতা করেছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্যটা কী? সেই প্রশ্নই এখন দেখা দিয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের উদ্দেশ্য আসলে সৎ নয়। এসব কথাবার্তা বলে তারা আসলে রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করছে। পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন তারা অন্য কথা বলছেন। এতেই স্পষ্ট হয়, তাহলে উদ্দেশ্য মহৎ নয়। তারা আসলে পানিটা ঘোলা করতে চান। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি চায় বাংলাদেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না। তিন মাস সময় নিয়ে আইন করা হলেও বিএনপি খুশি হবে না। তারা তখনই খুশি হবে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের খুশি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান ও সন্তানের মতো। তাদের দাবি দাওয়ার প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নানা দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছি। ভিসির পদত্যাগের জন্য আমি নিজেও ছাত্র রাজনীতি করার সময় আন্দোলন করেছি। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট আমরাও করেছি, আমি নিজেও করেছি। কিন্তু আমরা কখনো বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিনি। তিনি বলেন, আজকে শুনতে পেলাম ভিসির বাংলোতে পানি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, ভিসির জন্য খাবার পাঠানো হয়েছিল, সেই খাবারও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দেখুন জেলখানার কয়েদিরাও খাবার পায়, পানি পায়। তাকে তো সেগুলো থেকে বঞ্চিত করা যায় না। যখন আন্দোলনের কথা বলে এগুলো করা হয়, সেগুলোকে তো আন্দোলন বলা যায় না। আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানাবোÑ খবার বন্ধ করে দেওয়া, ভিসির বাংলোয় কিংবা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া বা কেটে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা এগুলো আন্দোলন হতে পারে না, এগুলো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। এগুলো তো প্রতিহিংসামূলক। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাব, তারা রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হিসেবে তাদের যেন কেউ ব্যবহার না করে। সরকারের কাছে যে খবর আছেÑ সেখানে যাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে তারা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। অনেকে না বুঝেই ব্যবহৃত হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখছে আশা করবো খুব সহসা এটির একটি যৌক্তিক সমাধান হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ব্যয় কমানোর উদ্যোগ

ফখরুলকে ইসির দায়িত্ব দিলে তবেই খুশি হবে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হলে তবেই বিএনপি খুশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে বিএনপি দেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা ইসি গঠনে আইনের কথা বললেও এখন সরকার উদ্যোগ নেওয়ার পর এর বিরোধিতা করছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্যটাই মহৎ নয়। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। যদিও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সে আইন হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সংলাপে বসেছিলেন। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী আইনের মাধ্যমে কমিশন গঠনের কথা বলেছেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও বদিউল আলম মজুমদার, শাহদীন মালিকসহ বেশ কয়েকজন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আইন করার জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন, আইনের একটি রূপরেখাও তারা হস্তান্তর করেছিলেন। তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এখন আইন করতে গেলে খুব তাড়াহুড়ো হবে’। সুশীল সমাজের পরামর্শ ছিল, তাড়াহুড়ো হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি করা হোক। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কদিন আগেই যারা আইনমন্ত্রীকে তাড়াহুড়ো করে হলেও আইন করার কথা বলেছিলেন, তারাই এখন জুম মিটিং করে বলেছেন- তাড়াহুড়া করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না। যারা অধ্যাদেশ করে আইন করার কথা বলেছিলেন, তারা এটাও বলেছিলেন- দুদিনেও অনেক আইন হয়েছে দেশে, একদিনেও অনেক আইন হয়েছে, চাইলে একদিনেও পারা যায়। আজকে যখন সরকার একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তখন তারা আবার নিজেদের দাবির বিপরীতে কথা বলা শুরু করেছেন। বিএনপিও একই কথা বলেছিল। এখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়ার পর তারাও এর বিরোধিতা করেছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্যটা কী? সেই প্রশ্নই এখন দেখা দিয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের উদ্দেশ্য আসলে সৎ নয়। এসব কথাবার্তা বলে তারা আসলে রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করছে। পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন তারা অন্য কথা বলছেন। এতেই স্পষ্ট হয়, তাহলে উদ্দেশ্য মহৎ নয়। তারা আসলে পানিটা ঘোলা করতে চান। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি চায় বাংলাদেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না। তিন মাস সময় নিয়ে আইন করা হলেও বিএনপি খুশি হবে না। তারা তখনই খুশি হবে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের খুশি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান ও সন্তানের মতো। তাদের দাবি দাওয়ার প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নানা দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছি। ভিসির পদত্যাগের জন্য আমি নিজেও ছাত্র রাজনীতি করার সময় আন্দোলন করেছি। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট আমরাও করেছি, আমি নিজেও করেছি। কিন্তু আমরা কখনো বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিনি। তিনি বলেন, আজকে শুনতে পেলাম ভিসির বাংলোতে পানি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, ভিসির জন্য খাবার পাঠানো হয়েছিল, সেই খাবারও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দেখুন জেলখানার কয়েদিরাও খাবার পায়, পানি পায়। তাকে তো সেগুলো থেকে বঞ্চিত করা যায় না। যখন আন্দোলনের কথা বলে এগুলো করা হয়, সেগুলোকে তো আন্দোলন বলা যায় না। আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানাবোÑ খবার বন্ধ করে দেওয়া, ভিসির বাংলোয় কিংবা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া বা কেটে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা এগুলো আন্দোলন হতে পারে না, এগুলো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। এগুলো তো প্রতিহিংসামূলক। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাব, তারা রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হিসেবে তাদের যেন কেউ ব্যবহার না করে। সরকারের কাছে যে খবর আছেÑ সেখানে যাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে তারা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। অনেকে না বুঝেই ব্যবহৃত হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখছে আশা করবো খুব সহসা এটির একটি যৌক্তিক সমাধান হবে।