• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার

বগা যখন ফান্দে পড়িয়া কান্দে

Reporter Name / ৪৬৫ Time View
Update : সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে এমএলএম পদ্ধতির ব্যবসায়ের নাম করে হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে বন্ধ হয়ে গেছে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড, যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি (যুবক), ইউনিপে টু ইউ (বিডি) লিমিটেড। এখন সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ই-কমার্সভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, এসপিসি ওয়ার্ল্ড, নিরাপদ ডটকম, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডটকম বিডিসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। ডেসটিনি কর্তাব্যক্তিরা সুকৌশলে জনগণের কাছ থেকে ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এরমধ্যে ৯৬ কোটি টাকা পাচারও করেন তারা। ৮ বছর কেটে গেলেও প্রতিষ্ঠানটির ৪৫ লাখ গ্রাহকের কেউই এ পর্যন্ত কোনো টাকা ফেরত পাননি। এ ছাড়া ২০০৬ সালে যুবক ২ হাজার ৬০০ কোটি, ২০১১ সালে ইউনিপে টু ইউ ৬ হাজার কোটি আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যায়। তবুও থেমে থাকেনি এই পদ্ধতিতে প্রতারণা। এখন বদলেছে প্রতারণার ধরন। দেশে বর্তমানে ৩০ হাজার ই-কমার্স বা অনলাইনে কেনা-বেচার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০-১২টির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই ১০-১২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে সব মিলিয়ে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের পাওনা কত, তার কোনো হিসাব নেই। কোনো সরকারি সংস্থা এখনো সে হিসাব করেনি। তবে পুলিশ, র‌্যাব, গ্রাহক ও মালিকপক্ষের দাবি অনুযায়ী, ৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের ৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা পাওনার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এর মধ্যে ইভ্যালির ৯৫০ কোটি, ই-অরেঞ্জের ১ হাজার ১০০ কোটি, ধামাকার ৮০৩ কোটি ও এসপিসি ওয়ার্ল্ডের ২৬৮ কোটি টাকা দেনার তথ্য রয়েছে।
গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীরা পাওনা টাকা ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিক্ষোভ করছেন। তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় বন্ধ।
অর্থনীতিবিদরা জানান, এসব কোম্পানির পক্ষে টাকা ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। কারণ এসব কোম্পানির সম্পদের চেয়ে দেনার পরিমাণ অনেক বেশি। সেজন্য তাদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও নেই। আপনি তাদের ধরলেন, শাস্তি দিলেন। কিন্তু যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের টাকা ফিরিয়ে দেবে কে?
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত এক কর্মশালায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ডেসটিনি ও যুবকের অনেক সম্পদ রয়েছে। সম্পদগুলোর দামও বেড়েছে অনেক। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলেও যে টাকা পাওয়া যাবে, তা দিয়ে গ্রাহকদের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া যাবে।
জানা যায়, যুবকে প্রশাসক বসিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে সবশেষ গত বছরের ১৬ মার্চ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতদিন পড়ে থাকলেও বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে ডেসটিনি ও যুবকের ফাইল আবার সচল হয়েছে। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের আওতাধীন।
যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) ১৮৬০ সালের সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের আওতায় ১৯৯৬ সালে নিবন্ধন নেয় যুবক। আর ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করে এবং প্রতিবেদনে উঠে আসে যুবক অবৈধ ব্যাংকিংসহ নানা প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে সরকার। এ কমিশনকে যুবক ৬৭৪ একর জমি থাকার হিসাব দেয়। এরপর ২০১১ সালে সাবেক যুগ্ম সচিব মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত হয় দ্বিতীয় কমিশন। এ সময় যুবক ৫১৮ একর জমি থাকার হিসাব দেয়।
সবশেষ কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুবকের ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৩৯ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের দাবির পরিমাণ ২ হাজার ৫৮৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। অথচ যুবকের সম্পত্তির বাজারমূল্য হবে ৩ হাজার কোটি টাকা। তবে এর অনেক সম্পত্তি বেদখলে চলে গেছে।
রাজধানীর পল্টনে ২১ শতাংশ, ধানমন্ডিতে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ, তেজগাঁওয়ে ৪৯ শতাংশ, কাঁচপুরে ৮৭৮ শতাংশ, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দরের পাশে ৪০ বিঘা, সাভার মডেল টাউনে প্লট এবং মাদারীপুর চক্ষু হাসপাতালের সামনে সম্পত্তি রয়েছে যুবকের। এ ছাড়া সারা দেশে রয়েছে যুবকের ১৮টি বাড়ি, ১৮টি প্রতিষ্ঠান এবং ৯১টি জায়গায় জমি।
বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যুবকের গ্রাহকদের পক্ষে প্রায় ১০ বছর ধরে আবেদন করে যাচ্ছে ‘যুবকে ক্ষতিগ্রস্ত জনকল্যাণ সমিতি’। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেনের ভাষ্য, ‘বছর বছর ভোগান্তির শিকার হতে হতে গত বছর অর্থমন্ত্রী একটা নির্দেশনা দিলে আমরা আশায় বুক বাঁধি। কিন্তু কোভিড চলে আসায় তা আর এগোয়নি। বাণিজ্যমন্ত্রীর কথায় আবার আশ্বস্ত হচ্ছি। সরকার চাইলে এটা পারে। আইন না থাকলে সরকার আইন তৈরি করুকÑএটা আমাদের দাবি।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন বা এটুআই (বর্তমানে অ্যাসপায়ার টু ইনোভেশন) প্রকল্পের কোনোভাবেই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
কেন দায় এড়ানোর সুযোগ নেই তা খুঁজতে ফিরে যেতে হবে দুই বছর আগে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন ‘বেসরকারি খাত উন্নয়নে নীতি সমন্বয় কমিটি’ নামে একটি কমিটির সভায় ই-কমার্স নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎকালীন মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।
ওই বৈঠকে বলা হয়, ই-কমার্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এটুআই যৌথভাবে ‘এসক্রো সেবা’ চালু করবে। এ ব্যবস্থায় গ্রাহক পণ্য হাতে পাওয়ার পর টাকা পাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তার আগে জমা থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের কাছে।
কিন্তু তখন এসক্রো সেবা চালুর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামের ভাষ্য, ‘এ দায় আমাদের নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে গত ২৭ জুন। ৩০ জুন আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। আগে চিঠি দিলে আমরা আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই বৈঠকে জাতীয় উদ্ভাবন এবং মেধাস্বত্ব নীতিমালায় ই-কমার্সকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ই-কমার্স ব্যবসার সুরক্ষার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রয়োজনীয় বিধান অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগকে। কিন্তু তখন সব দপ্তরই যার যার কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীনকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অনুরোধ জানায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাতেও গা করেনি। জাফর উদ্দীন এখন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ক্ষেত্রে তিনি এখন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।
ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধারদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনো পথ এখনো তৈরি হয়নি। কীভাবে তারা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন তারও কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি। এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রেপ্তার কোনো সমাধান নয়। কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেয়া যায় সে ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
কিন্তু কীভাবে উদ্যোগ নিতে হবে সে ব্যাপারে আইনজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, প্রতারিত গ্রাহকদের ফৌজদারি ও দেওয়ানি-দুই ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এই আইনি প্রক্রিয়ায় টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
আইন কর্মকর্তরা বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে যেসব কোম্পানি মানুষের কাছ থেকে নেয়া টাকায় অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে, সেসব সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে মানুষের টাকা মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিলে সবচেয়ে ভালো হবে। প্রতারক কোম্পানির সম্পত্তি ক্রোক করে তা বিক্রির জন্য আলাদা বিধান করা উচিত। বিদ্যমান আইনে কোনো মামলার আসামি দ-িত হওয়ার পর সম্পত্তি ক্রোকের বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
টাকা আদায়ে মানি মোকদ্দমা পদ্ধতিঃ একজন গ্রাহক প্রতারিত হয়ে টাকা খোয়ালে, বিদ্যমান ফৌজদারি আইন অনুযায়ী থানা কিংবা আদালতে বিচার চেয়ে ফৌজদারি মামলা করতে পারেন। মামলার পর অভিযুক্তের সম্পদ দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের বিধান রয়েছে। বিচার শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তি দ-িত হলে আদালত অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। এর বাইরে প্রতারিত গ্রাহক বিদ্যমান দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী টাকা আদায়ের জন্য দেওয়ানি আদালতে ‘মানি মোকদ্দমা’ করতে পারেন। ব্যক্তির পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এটি কার্যকর আইনি পদক্ষেপ বলে জানান আইনজ্ঞরা। অবশ্য কোনো কোম্পানি কিংবা ব্যক্তি যদি পাওনাদারকে চেক দেন, আর সেই চেক যদি ডিজঅনার (চেক প্রত্যাখ্যান) হয়, সে ক্ষেত্রেও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্টে এই মামলা করতে হয়।
আইনজীবীরা জানান, কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারিত হন, তিনি ফৌজদারি আইনের পাশাপাশি দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী টাকা আদায়ের জন্য দেওয়ানি আদালতে মানি মোকদ্দমা করতে পারেন। বাদী যদি তার দাবি আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হন, তাহলে আদালত বাদীর পক্ষে ডিক্রি দেন। অবশ্য মানি মোকদ্দমা নিষ্পত্তি একটা লম্বা আইনি প্রক্রিয়া। বাদী মামলা করলে বিবাদীপক্ষ সব সময় তৎপর থাকেন, কীভাবে মামলা ঝুলিয়ে রাখা যায়। তবে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে ‘মানি মোকদ্দমা’ই একমাত্র আইনি সমাধান।
তবে দুদকের একজন আইনজীবী বলেন, এটার জন্য সময় লাগবে। এটা যে নিশ্চিতভাবে পাবে সেটাও এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। এখানে আইনি জটিল প্রক্রিয়ায় তাদের হয়তো বিচারের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু টাকা পাওয়ার ব্যাপারে সময় সাপেক্ষ। এখন আইনে তো আসলে কিছু স্পষ্ট করে বলা নেই। মামলা মোকদ্দমা করলে সময় লাগবে।
ই-কমার্সের নামে প্রতারণার শিকার গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া যাবে কীভাবেÑতার কোনো সুনির্দিষ্ট পথ আবিষ্কৃত হয়নি এখনো। যুবক ও ডেসটিনির তবু সম্পদ আছে কিন্তু ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর তাও নেই বলে গ্রাহকেরা সন্দেহ করছেন। র‌্যাব বলেছে, ব্যাংক হিসাবে ইভ্যালির টাকা আছে মাত্র ৩০ লাখ। সিআইডি বলছে, ধামাকার ব্যাংক হিসাবে আছে মাত্র ৯৭ হাজার টাকা।
ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের বোকামি কিংবা বিশ্বাসের দায় এখন কেউ নিচ্ছেন না। ফাঁদে পড়া বগার মতো তারা এখন কাঁদছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category