নিজস্ব প্রতিবেদক :
ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এই কারণে বন্যা কবলিত প্রায় ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ গ্রহাকের বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন বন্ধ আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সুনামগঞ্জে ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ এখন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আরও এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা। এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং টিম গঠন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অনাকাক্সিক্ষত এই অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আরইবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সুনামগঞ্জের। সেখানে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজারটি লাইন বন্ধ আছে। এ ছাড়া সিলেট-১ এবং সিলেট-২ সমিতির অধীনেও প্রায় সব লাইন বন্ধ। সবমিলিয়ে এখন প্রায় ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় সমিতিগুলো জানায়, পানি এখন জকিগঞ্জের দিকে যাচ্ছে। যদি তাই হয় এবং পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুইদিনে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে তাহলে আরও এলাকায় নিরাপত্তার জন্য আমাদের লাইন বন্ধ রাখতেই হবে। এদিকে পানি কমতে শুরু করার সময়টায় মারাত্মক। সেই সময় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। আসলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আরইবির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে ওইসব এলাকায়। এদিকে সিলেটে বন্যায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিঘœ ঘটায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রের সুইচইয়ার্ড প্লাবিত হওয়ায় সিলেট অঞ্চলও বিদ্যুৎ বন্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সিলেট অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ামাত্র আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।