• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

বস্তাবন্দি মরদেহের রহস্য উন্মোচন করলো সিআইডি

Reporter Name / ৪৩৪ Time View
Update : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে বস্তাবন্দি মরদেহের উদ্ধারের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম- রাজু চন্দ্র শীল (৩০)। গতকাল সোমবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের শহরের বিপণীবাগ মার্কেটের পৌর পানির পাম্পের স্টাফ রুমের নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ বিভিন্ন দোকানে দই-মিষ্টি বিক্রি করে আসছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি রাজুর কাছে যান। বিপণীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী ইসমাইল বকাউলের বরাত দিয়ে মুক্তাধর বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজুকে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। তখন রাজুর কাছে দোকান পরিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে তিনি নৈশ প্রহরী ইসমাইলকে বলেন, ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে তিনি দোকান পরিষ্কার করে পুরনো জামা-কাপড়সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজু ওই বস্তাটি বিপণীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরিফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশে গলির ভেতরে ফেলে দেন। তিনি আরও বলেন, ওই বস্তা ফেলে রাজু আবারও দোকানে ফিরে আসেন। এরপর রাজু পানি দিয়ে ওই সেলুন পরিষ্কার করতে থাকেন। কিন্তু সেলুন থেকে মরদেহ পাওয়ার জায়গা পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা যায়। পরে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে আনলে তিনি দোকান খুলে সেলুনের মেঝতে রক্তমাখা পানি দেখতে পান। এছাড়াও সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝেতে ও বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখা যায়। ওই ঘটনার পর পালিয়ে যান রাজু চন্দ্র শীল। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে তা সিআইডির নজরে আসে। পরে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এরপর মুক্তা ধরের নির্দেশনায় রাজুকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয় অভিযান। পরে সিলেট শহর থেকে অভিযুক্ত রাজুকে সিআইডি গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু সিআইডিকে জানায়, টাকা লেনদেনের কারণে তিনি নারায়ণকে হত্যা করেছেন। তবে কত টাকার লেনদেন ছিল সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category