• বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ঈদযাত্রায় প্রস্তুত ৮৭ লঞ্চ, ১০ ফেরি ও শতাধিক স্পিডবোট

Reporter Name / ১৯০ Time View
Update : শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাধারণ যাত্রীদের কাছে দুর্ভোগের নৌরুট হিসেবে পরিচিত বাংলাবাজার-শিমুলিয়ায় ঈদে যাত্রীচাপ মোকাবিলায় থাকছে ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট। এছাড়াও ঈদের সময় মোট ১০টি ফেরি নৌরুটে যানবাহন পারাপার করবে বলেও ফেরিঘাট সূত্র জানিয়েছে। তবে দিন-রাত ফেরি সার্ভিস থাকবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র। ফেরির পাশাপাশি নৌরুটে বরাবরের মতো থাকছে ৮৭টি লঞ্চ এবং শতাধিক স্পিডবোট। ঈদকে সামনে রেখে নৌযানগুলো সর্বশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সাধারণ মেরামত সম্পন্ন হয়েছে বলে ঘাট সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগেই সবগুলো লঞ্চের রুট পারমিট, সার্ভে সনদসহ টুকটাক মেরামত সম্পন্ন করে নিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে নৌরুটে পারাপার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, কোনো কোনো লঞ্চে জীবনরক্ষাকারী বয়া বেশি থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চেই তা পর্যাপ্ত নেই। তাছাড়া লাইফ জ্যাকেটও দেখা যায় না লঞ্চে। প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করা হয়ে থাকে। লঞ্চের ভেতরে উপরে ও নীচে পর্যাপ্ত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেট রাখা উচিত। অথচ তা নেই। বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া। এই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে ঈদ মৌসুমে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ পারাপার হয়। ঈদের আগে ঘরে ফেরা এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলে যোগ দেওয়া মানুষের ঢল নামে এই দুই ঘাটে। অধিক যাত্রীদের চাপে এ সময় শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যায়। স্পিডবোটসহ নৌযানে শুরু হয় বাড়তি ভাড়ার উৎসব! এসব নৌযানে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী পারাপার করা হয়। সব মিলিয়ে এক দুর্ভোগের ঈদযাত্রায় পরিণত এই নৌরুট। এদিকে গত এক বছর ধরে নৌরুটে ফেরি চলছে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে। এক বছর ধরে কখনো দীর্ঘদিন ফেরি বন্ধ, আবার কখনো কিছু সময় চলাচলসহ সীমিত সংখ্যক ফেরি শুধু দিনের বেলায় চলছে নৌরুটে। আর বন্ধ রাখা হয়েছে ভারী যানবাহন চলাচল। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাত্র পাঁচ/ছয়টি ফেরি দিয়ে নৌরুট সচল রাখা এক ধরনের প্রহসনও বলছেন এই রুট ব্যবহারকারীরা। ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও পদ্মা পাড় হতে না পারার যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা রয়েছে যানবাহনের চালকদের। আসন্ন ঈদেও ফেরিতে বড় ধরনের দুর্ভোগের শঙ্কা বোধ করছেন চালকরা। লঞ্চে ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মো. মইনুল হক বলেন, পদ্মায় পানি বাড়ছে। সামান্য বাতাস হলেই ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ঈদের ছুটিতে নৌরুটে যাত্রীদের ঢল নামে। এ সময় লঞ্চ ও স্পিডবোট কঠোর প্রশাসনিক নজরদারিতে রেখে চালানোর দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া নৌযানে পর্যাপ্ত সংখ্যা জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম থাকা প্রয়োজন। সে তুলনায় কিছুই দেখা যায় না। আরেক যাত্রী মো. ইমরুল বলেন, বর্তমান সময়টা হচ্ছে কালবৈশাখী ঝড়ের। হঠাৎ করেই আবহাওয়া খারাপ হয়ে উঠতে পারে। ঈদ যাত্রায় অধিক সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী যেন নৌযানে বহন করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে বর্তমানে ৮৭টি লঞ্চ রয়েছে। পাশাপাশি শতাধিক স্পিডবোট চলছে। লঞ্চগুলোর মধ্যে বড় লঞ্চের সংখ্যাই বেশি। যা দুই শতাধিক যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। এ ছাড়া ১৩৫ ও দেড়শ যাত্রী বহনে সক্ষম লঞ্চ রয়েছে ১০ থেকে ১২টি। যেসব লঞ্চে ছোটখাটো ত্রুটি ছিল তা ইতোমধ্যেই মেরামত করা হয়েছে। তাছাড়া ঈদের ভিড় হওয়ার আগেই লঞ্চগুলো আরও একবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। লঞ্চে বর্তমানে ৪৫ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঈদে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে নৌরুটের উভয় ঘাট মিলিয়ে শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। যা নিবন্ধিত। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী নৌযানগুলো যাত্রী পারাপার করছে। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে পাঁচটি ফেরি চলছে। অন্যদিকে শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে চলছে দুটি ফেরি। মোট সাতটি ফেরি চলছে দুই রুটে। তবে ঈদের আগে আরও তিনটি ফেরি যুক্ত হবে নৌরুটে। মোট দশটি ফেরি চলবে। তবে বাংলাবাজার রুটে ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস থাকবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঈদের সময় মোট ১০টি ফেরি চলবে। ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ঈদের চাপ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ৮৭টি লঞ্চ চলবে নৌরুটে। যেহেতু ঝড়ের মৌসুম, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই লঞ্চ চলাচল করবে। ধারণক্ষমতার বাইরে কোনো যাত্রী বহন করা হবে না। আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠলেই আমরা নৌযান চলাচল বন্ধ রাখি। আশা করি ঈদে যাত্রীরা নির্বিঘেœ পারাপার হতে পারবে। জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ঈদুল ফিতরের আগের সাতদিন ও পরের সাতদিন ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা লঞ্চ মালিক সমিতি, স্পিডবোট মালিক সমিতি, বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category