০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

বান্দরবান জেলার সকল পূজামন্ডপে সেনা জোনের অনুদান

মোঃ জুয়েল হোসাইন :

শনিবার (১অক্টোবর) সকালে শারদীয় দুর্গোউৎসব সনাতন ধর্মে বান্দরবান শহরও সকল উপজেলার এই ধর্ম উনুষ্ঠানে উদযাপিত হয়েছে! এসময়ে এই শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে বান্দরবান সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি সহ অত্র জোনের অন্যান্য অফিসরগণ বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় আয়োজিত সকল পূজা মন্ডপে উপস্থিত থেকে মন্ডপের কমিটির নিকট এই অনুদান প্রদান করেন! যার যার,উৎসব সবার”সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশন, চট্টগ্রামের অধীনস্থ বান্দরবান সেনা জোন শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বান্দরবান জেলায় বাঙালি-পাহাড়ি মুসলমান ছাড়াও সনাতন ধর্মী হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী তথা মুরং, ত্রিপুরা, চাকমা, মার্মা, বম,তঞ্চঙ্গ্যারা বসবাস করে। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও পাহাড়ি জনপদে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বন্ধনে নিরলস ভাবে গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবান জোন কর্তৃক শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দির ও পূজা মন্ডপে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় ১১ টি এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২টি পুজা মন্ডপ সহ মোট ১৩ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় উৎসবকে আরো ত্বরান্বিত ও উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে সর্বমোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। বান্দরবান সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় রাজার মাঠ সার্বজনীন মন্দিরে আর্থিক অনুদান প্রদানকালে জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি বলেন, বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সকল পূজা মন্ডপে নির্বিঘ্নে ধর্মীয় মহোৎসব পালনের স্বার্থে এবং সুষ্ঠুভাবে পূজা অর্চনা পরিচালনার লক্ষ্যে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বান্দরবান সেনা জোন আপনাদের পাশে রয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন করতে চাই। আজকের এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির ভাতৃত্ববোধের অন্যতম নিদর্শন স্থাপিত হলো। সেনাবাহিনী সর্বদা এভাবেই দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ ও দশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। উপস্থিত মন্দিরের কমিটির সদস্যদের তিনি সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে!

ট্যাগস :

রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা বন্ধ হলে চাকরি হারাবেন বাংলাদেশি শিক্ষকরাও

বান্দরবান জেলার সকল পূজামন্ডপে সেনা জোনের অনুদান

আপডেট সময়ঃ ০৫:২০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

মোঃ জুয়েল হোসাইন :

শনিবার (১অক্টোবর) সকালে শারদীয় দুর্গোউৎসব সনাতন ধর্মে বান্দরবান শহরও সকল উপজেলার এই ধর্ম উনুষ্ঠানে উদযাপিত হয়েছে! এসময়ে এই শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে বান্দরবান সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি সহ অত্র জোনের অন্যান্য অফিসরগণ বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় আয়োজিত সকল পূজা মন্ডপে উপস্থিত থেকে মন্ডপের কমিটির নিকট এই অনুদান প্রদান করেন! যার যার,উৎসব সবার”সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশন, চট্টগ্রামের অধীনস্থ বান্দরবান সেনা জোন শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বান্দরবান জেলায় বাঙালি-পাহাড়ি মুসলমান ছাড়াও সনাতন ধর্মী হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী তথা মুরং, ত্রিপুরা, চাকমা, মার্মা, বম,তঞ্চঙ্গ্যারা বসবাস করে। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও পাহাড়ি জনপদে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বন্ধনে নিরলস ভাবে গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবান জোন কর্তৃক শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দির ও পূজা মন্ডপে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় ১১ টি এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২টি পুজা মন্ডপ সহ মোট ১৩ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় উৎসবকে আরো ত্বরান্বিত ও উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে সর্বমোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। বান্দরবান সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় রাজার মাঠ সার্বজনীন মন্দিরে আর্থিক অনুদান প্রদানকালে জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি বলেন, বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সকল পূজা মন্ডপে নির্বিঘ্নে ধর্মীয় মহোৎসব পালনের স্বার্থে এবং সুষ্ঠুভাবে পূজা অর্চনা পরিচালনার লক্ষ্যে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বান্দরবান সেনা জোন আপনাদের পাশে রয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন করতে চাই। আজকের এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির ভাতৃত্ববোধের অন্যতম নিদর্শন স্থাপিত হলো। সেনাবাহিনী সর্বদা এভাবেই দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ ও দশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। উপস্থিত মন্দিরের কমিটির সদস্যদের তিনি সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে!