• শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
গুইমারায় ট্রাক ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতি’র শুভ উদ্বোধন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত পুলিশসহ সব সরকারি কর্মকর্তাকে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা বিদ্বেষপূর্ণ খালেদা জিয়া-তারেকসহ সব আসামি খালাস পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার কাজ চলছে: আইজিপি পদত্যাগ করলেন টিউলিপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচারের আশা আইন উপদেষ্টার বিপুলসংখ্যক গাড়ির ইঞ্জিন ভেজাল জ্বালানি তেলে নষ্ট হলেও পর্যাপ্ত নজরদারি নেই বছরের পর বছর নিলামের অপেক্ষায় কয়েক হাজার পণ্যভর্তি কনটেইনার

বারবার তাগিদ দেয়া হলেও সম্পদে হিসাব দিতে গড়িমসি করছে সরকারি চাকরিজীবীরা

Reporter Name / ১২০ Time View
Update : শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারি চাকরিজীবীদের বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও সম্পদের হিসাব দিতে গড়িমসি করছে। অথচ ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী ৫ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। এতোদিন এ বিষয়ে সরকারের তেমন কোনো তদারকি ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব বা সচিবদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের জুনে চিঠি পাঠানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির পর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো তাদের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে চিঠি পাঠায়। কিন্তু তাতে সাড়া না মেলায় ফের তাগাদা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে চিঠি দিয়ে বার বার তাগিদ দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু সম্পদের হিসাব দিতে সরকারি চাকরিজীবীদের সাড়া নেই। এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতে খুব শিগগিরই সভায় বসতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়া নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরিরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর সহজে সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার জন্য একটি ফরমও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সুশাসন নিশ্চিতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিধিগুলো কার্যকরভাবে অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত জুলাইয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত বছরের আগস্ট মাসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থা ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কমিশনার ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পরিচালকের (প্রশাসন) কাছে ওই চিঠি দেয়া হয়। পরে সেপ্টেম্বর মাসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের কাছেও সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠায়। আর পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ গত বছরের আগস্ট মাসে সম্পদের হিসাব দিতে কর্মচারীদের চিঠি পাঠায়। গত বছরের আগস্টে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দেয়। গত জুলাইয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় হিসাব চেয়ে অধীনন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিঠি দেয়। পরে আগস্টে গণপূর্ত অধিদপ্তরও সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়। এ অবস্থায় ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর আওতাভুক্তদের তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধীন সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, ওই সম্পদ বিবরণীর ডাটাবেজ তৈরি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি নেয়ার বিষয়ে বিধিসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। তাছাড়া সরকারি কর্মচারীর জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম ও বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছকও পাঠানো হয়।
এদিকে সম্পদের হিসাব দিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গড়িমসি প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেয়া নিয়ে খুব শিগগিরই সভা ডাকা হবে। ওই সভায় সব কিছু পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। সরকারি চাকরি জীবন ৫ বছর পূর্ণ হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। যার ৫ বছরের কম হয়েছে তিনি তা দেবে না। ওই বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটা ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। তাতে কার কবে ৫ বছর পূর্ণ হয় সেভাবে তাকে হিসাব দিতে হবে। তাছাড়া একটা নতুন ফরমও ডেভেলপ করা হচ্ছে, যাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহজে সম্পদের হিসাব সহজে দাখিল করতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category