• শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

বিএনপির ৫ এমপির পদ শূন্য, দুজনের পদত্যাগপত্র ‘যাচাই-বাছাই’ হবে: স্পিকার

Reporter Name / ৬৯ Time View
Update : রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গোলাপবাগের বহুল আলোচিত সমাবেশে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেওয়ার পর স্পিকারের দপ্তারে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তাদের মধ্যে পাঁচজন সশরীরে উপস্থিত থাকায় তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নিয়ে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বাকি দুজনের পদত্যাগপত্র যাচাইবাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন তিনি। বিএনপির এমপিদের মধ্যে বগুড়া-৭ আসনের জি এম সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ এর জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের রুমিন ফারহানা গতকাল রোববার সকালে সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। গত শনিবার ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশেই তারা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী আজ রোববার তারা সশরীরে এসে সই করা পদত্যাগপত্র জমা দেন। মেয়াদপূর্তির এক বছর আগেই তারা সংসদ ছাড়লেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার ‘অসুস্থতার’ কারণে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এর হারুনর রশীদ বিদেশে থাকায় সংসদ ভবনে উপস্থিত না হলেও তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত পদত্যাগপত্র স্পিকারের হাতে দেন দলীয় হুইপ রুমিন ফারহানা। সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে এসে জিএম সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা পাঁচজন আলাদাভাবে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমরা আর সংসদ সদস্য নেই। স্পিকার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। বাকি বিষয়ে উনি জানাবেন। “আমাদের বাকি দুজন আসতে পারেননি। ওঁরা ২০ তারিখের পরে সশরীরে এসে নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে যাবেন। আর রুমিন ফারহানা পদত্যাগপত্র থেকে পড়ে শুনিয়ে বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে চরম স্বৈরশাসন চলছে। বর্তমান সরকারের গণতন্ত্র ও গণবিরোধী কার্যকলাপে গণতন্ত্রহীনতা, বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপর দমনপীড়ন, গণগ্রেপ্তার, গুম, হত্যা এবং মত প্রকাশ ও বাক স্বাধীনতা হরণ, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ, সর্বোপরী মহান জাতীয় সংসদকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে, জনস্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী এই সংসদের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করে এই সংসদ বাতিলের দাবির গণদাবির সাথে একমত ঘোষণা করছি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে, স্থির মস্তিষ্কে, অন্যের বিনা প্ররোচণায় গভীরভাবে চিন্তা ও বিবেচনার পর, অদ্য ১০/১২/২০২২ তারিখে সংসদের যার যার আসন থেকে পদত্যাগ করলাম, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।” স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বলেন, “তারা আমার কাছে সাত জনের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পাঁচ জন সশরীরে ছিলেন, তাদেরটা গ্রহণ করা হয়েছে। সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই আসনগুলো শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুজনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেব। “এর মধ্যে সংসদ সচিবালয় সাত্তার সাহেবের স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখবেন এবং কথা বলবেন। সব ঠিক থাকলে তা গৃহীত হবে। তবে ইমেইলে দেওয়ায় হারুনের আবেদন গ্রহণ হবে না, তাকে পরে এসে জমা দিতে হবে।” সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৭ (২) এ বলা হয়েছে- কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করতে পারবেন, এবং স্পিকার- কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে ডেপুটি স্পিকার- যখন ওই পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হতে ওই সদস্যের আসন শূন্য হবে। পরবর্তী করণীয় জানিয়ে স্পিকার বলেন, “আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশের পর তাদের কাছে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন হবে আসন শূন্যের বিষয়ে এখন গেজেট হবে, পরে সংসদ অধিবেশন যখন বসবে, সেখানেও জানানো হবে।” ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। সেই নির্বাচনে দলের ছয় প্রার্থী বিজয়ী হন, পরে সংরক্ষিত নারী আসনের একটি পায় বিএনপি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে শুরুতে বিএনপি জানিয়েছিল, তারা সংসদে যাবে না। পরে সিদ্ধান্ত বদলে শপখ নেন দলটির সংসদ সদস্যরা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপির এমপিরা পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন আগেই। গত শনিবার গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে তাদের সেই ঘোষণা আসে। বিদেশে থাকা হারুন বাদে আর সবাই সমাবেশে বক্তৃতা দিতে দাঁড়িয়ে একে একে নিজের পদত্যাগের কথা বলেন। তারা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারা পদত্যাগ করছেন। তাদের ওই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ হিসেবে বর্ণনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত শনিবার বলেছিলেন, এজন্য বিএনপির এমপিদের ‘অনুতাপ’ করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category