০২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

বিজয় দিবস ঘিরে র‌্যাবের ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করেছে র‌্যাব। এসব অনুষ্ঠানে র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) কর্তৃক জল, স্থল ও আকাশপথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, প্যারেড স্কয়ার, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়লসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হবে। সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। খন্দকার আল মঈন জানান, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে র‌্যাবও বিজয় দিবস উপলক্ষে এর নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বিজয় দিবস এবং জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতোমধ্যে জারি করা সবপ্রকার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র‌্যাব কাজ করছে। তিনি বলেন, সারাদেশে র‌্যাবের গোয়েন্দা ও আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহের আশে-পাশে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ইউনিফর্ম টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইন নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, র‌্যাবের টহল জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড ও র‌্যাবের বোম্ব স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সারাদেশে ভিভিআইপি, ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের গমনাগমনের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেখানে জনসমাগম বেশি হয় সেসব এলাকায় যাতে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আরও বলেন, র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড টিম ও ক্রাইম সিন ভ্যানকে কৌশলগত স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। সম্ভাব্য যেকোন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক ও সহিংস ঘটনা রোধকল্পে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি দুষ্কৃতিকারী চক্র অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হামলা ও নাশকতা চালায়। র‌্যাব গোয়েন্দা নরজদারি ও সাইবার নজরদারিরর মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুচক্রী মহলের গুজব, অপপ্রচার ও অপতৎপরতা রোধে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের সাইবার নজরদারি ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবস ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এছাড়াও ওই সময়ে যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে স্থানীয় র‌্যাবের সহযোগিতা পেতে নিকটস্থ র‌্যাব অফিসে যোগাযোগ করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের কারাদ-

বিজয় দিবস ঘিরে র‌্যাবের ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করেছে র‌্যাব। এসব অনুষ্ঠানে র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) কর্তৃক জল, স্থল ও আকাশপথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, প্যারেড স্কয়ার, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়লসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হবে। সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। খন্দকার আল মঈন জানান, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে র‌্যাবও বিজয় দিবস উপলক্ষে এর নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বিজয় দিবস এবং জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতোমধ্যে জারি করা সবপ্রকার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র‌্যাব কাজ করছে। তিনি বলেন, সারাদেশে র‌্যাবের গোয়েন্দা ও আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহের আশে-পাশে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ইউনিফর্ম টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইন নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, র‌্যাবের টহল জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড ও র‌্যাবের বোম্ব স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সারাদেশে ভিভিআইপি, ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের গমনাগমনের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেখানে জনসমাগম বেশি হয় সেসব এলাকায় যাতে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আরও বলেন, র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড টিম ও ক্রাইম সিন ভ্যানকে কৌশলগত স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। সম্ভাব্য যেকোন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক ও সহিংস ঘটনা রোধকল্পে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি দুষ্কৃতিকারী চক্র অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হামলা ও নাশকতা চালায়। র‌্যাব গোয়েন্দা নরজদারি ও সাইবার নজরদারিরর মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুচক্রী মহলের গুজব, অপপ্রচার ও অপতৎপরতা রোধে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের সাইবার নজরদারি ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবস ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এছাড়াও ওই সময়ে যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে স্থানীয় র‌্যাবের সহযোগিতা পেতে নিকটস্থ র‌্যাব অফিসে যোগাযোগ করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।