• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

বিয়ের নামে প্রতারণা, কারাগারে সেই নারী

Reporter Name / ৪৩৭ Time View
Update : বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কখনও মিনু, কখনও সুমি, কখনো ফাতেমা আবার কখনও রোমানা নামে পরিচিত তিনি। এসব নামের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে একাধিক নামে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নাগরিক সনদপত্র। তিনজন বৈধ স্বামীর পরিচয় পাওয়া গেলেও রয়েছে আরও অনেক স্বামী। একাধিক প্রতিষ্ঠানে ছদ্মনাম এবং ভিন্ন ভিন্ন নামের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একাধিক চাকরিও করেছেন তিনি নির্বিঘেœ। বিয়ের নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে নানামুখী প্রতারণা-জালিয়াতি ও নিরীহ লোকদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে এই প্রতারক (৩৬) নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রতারক মিনু আক্তার, মোস্তফা জামিল (৩৭) ও রাশেদকে (৩৯) আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়। মামলাটি বায়েজিদ থানাকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য আদালত আদেশ দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তৈরি করা একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায়, মোছাম্মৎ ফাতেমা খাতুন (জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৯৮৯৮৮১২৭২৭১৭০৫২৪) নাম ধারণ করে এই নারী স্বামী হিসেবে জনৈক লুৎফর রহমান এবং মা হিসেবে শামসুন নাহারের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ২০২০ সালের আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায়, একই মহিলার নাম নাছমিন আক্তার সিমু (জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৩৭৬৪৬৬৭০৫৫), পিতার নাম মো. আলী আহাম্মদ ও মাতার নাম শামসুন নাহার। অপর একটি নাগরিক সনদপত্রে দেখা যায়, পিতা-মাতার নাম ঠিক রেখে একই নারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে- মিনু আক্তার। ওই নারীই আবার পিতা-মাতার নাম এবং নিজের ঠিকানা একই রেখে ঢাকার সাফা সোয়েটার লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন ফাতেমা আক্তার রোমানা নামে ভিন্ন সনদ দিয়ে। ২০০৮ সালের কোনও একসময়ে তিনি বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের লুৎফর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে। সেই সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। ২০০৮ সালের একটি এনআইডি কার্ডে তার স্বামী লুৎফুর রহমানের নাম রয়েছে। এই নারী মিনু আক্তার নাম ধারণ করে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইমাম হোসেন নামে এক প্রবাসীকে বিয়ে করেন। কাতার প্রবাসী ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থাতেই আবার ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করেন মোস্তফা জামিল নামে এক ব্যক্তিকে। যেসব পুরুষদের সঙ্গে মিনু আক্তারের বিয়ে হয়েছে তারা প্রত্যেকেই এখন রয়েছেন বিয়ে ভীতিতে। ঢাকায় বিয়ে হওয়া মোস্তফা জামিলের পাশাপাশি চট্টগ্রামের আদালতে যিনি মামলা করেছেন, সেই ইমাম হোসেনও মিথ্যা মামলার আতঙ্কে আছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার বাদী প্রবাসী ইমাম হোসেনের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, মিনু আক্তার কয়েকটি এনআইডি কার্ড এবং বিভিন্ন নামে নাগরিক সনদ বানিয়ে বৈবাহিক প্রতারণাসহ ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট খুলে দেশি ও প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এক নারীর অন্তত ৪টি ভিন্ন নামের পরিচয়পত্র, তিনজন বৈধ স্বামী, বৈবাহিক সম্পর্ক বলবৎ থাকা অবস্থায় অন্য পুরুষকে বিয়ের ডকুমেন্ট আদালতের নজরে আনার জন্য দাখিল করা হয়েছিল। তিনি বলেন, একাধিক প্রতিষ্ঠানে ছদ্মনাম এবং ভিন্ন ভিন্ন নামের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একাধিক চাকরিও করেছে মিনু আক্তার। গতকাল বুধবার সকালে মিনু আক্তার আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আদালত প্রায় ৩০ মিনিট শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত সোমবার একই মামলার আসামি রাশেদ নামে একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category