• রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

বীজে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

Reporter Name / ৩৬ Time View
Update : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
যে সমস্ত বীজের অঙ্কুরোদগম হয় না (চারা গজায় না), সেসব বীজ যিনি বা যারা বাজারে সরবরাহ করবেন তাদের চরম শাস্তির আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। একই সঙ্গে তিনি জানান, রমজান মাসকে সামনে রেখে ঢাকা শহরে কৃষিপণ্যের বাজার খোলা হয়েছে, যাতে মানুষ তাজা সবজি পায়। আজ সোমবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী। জেলা প্রশাসকদের কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষকের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সজাগ। বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। আমার জিডিপিও কৃষির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। যে সমস্ত বীজে অঙ্কুরোদগম হয় না, সেসব বীজ যিনি বা যারা বাজারে সরবরাহ করবেন, তার শাস্তি কী আমরা বলে দিয়েছি। চরম শাস্তি হবে। সেজন্য কোনো বীজ যদি অঙ্কুরোদগম না হয়, তাহলে তার শাস্তি পেতেই হবে। এ সব বিষয়ে আজকে ডিসিদের বলা হয়েছে। আমি মনে করি, আপনাদের (সাংবাদিক) যেসমস্ত জানার চাহিদা, আপনারা যেভাবে দেখছেন, এর বাইরে কোনো কিছুই করছি না। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা শহরে কৃষিপণ্যের বাজার খোলা হয়েছে। এই রমজান মাসকে সামনে রেখে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও অন্যান্য জায়গায় ঘর পেলেই আমরা দোকান খুলে দিচ্ছি। যাতে তাজা সবজি মানুষ নিতে পারে। এবং ন্যায্যমূল্যে ঠিক বলব না, প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে, কম দামে যাতে পাওয়া যায়। কারণ পার ক্যাপিটা ইনকাম বেড়েছে, ইকোনোমিক্সের ক্যাপাসিটি বেড়েছে। আমরা যেহেতু এই সমস্ত কিছু অর্জন করেছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এগুলো হয়েছে। আমরা এলডিসিতে গিয়েছিলাম, সেখানেও দেখেছি, তারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য কমানোর বিষয়ে ডিসিদের কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাছবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে আসছি। বাংলাদেশে কোনো অনাবাদি জমি আমরা খালি রাখতে চাই না। যার জন্য ইতোমধ্যে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় একজন কৃষি বিজ্ঞানীও। তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি নিজে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে অনাবাদি জমি যেখানে দেখে এসেছি, বলে এসেছি, এগুলো অনাবাদি রাখা যাবে না। পানি সেচের জন্য বিআরডিসির যে ব্যবস্থা আছে, সেটিকে আরও জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়েছি। বিআরডিসির চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে সেসব এলাকা মনিটর করে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশের মানুষকে বাঁচাবার জন্য বিশেষ করে খাদ্যে যাতে কোনো ধরনের ঝামেলা না হয়, সেজন্য কৃষিপণ্য যেটা উৎপাদন হয়, সেখানে ভেজাল জাতীয় কোনো পণ্য যাতে বাজারে না আসে, তার জন্য বিভিন্ন মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছি। আগেও ছিল, এখনো আছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা যারা আছেন, বিভাগে যারা আছেন এবং ডিজি মহোদয় যারা আছেন, তারা তাদের কাজকে আরও শক্তিশালী করেছেন। আমি নিজেও একজন কৃষক। আমি নিজে কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে উপভোগ করি। ডিসিরা কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রায় ৪ হাজার কৃষি পরিবার ইতোমধ্যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। আর বাকি যেগুলো পাইপলাইনে আছে, সেগুলো ডিসিরা বাস্তবায়ন করছেন। আমি আমার বক্তব্যে জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনারা প্রত্যেক মাসে একটি সমন্বয় সভা করেন। সেই সমন্বয় সভায় বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে যেসব কর্মকর্তারা আছেন, তাদের পরামর্শ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। আমার মন্ত্রণালয়ে পাঠালে, সেখানে বিলম্বের কোনো অবকাশ নেই। আমাদের মন্ত্রণালয় খুবই সজাগ। গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানিযোগ্য পণ্য বহুমুখীকরণ, চামড়াজাত শিল্পের উন্নয়ন ও চামড়া রপ্তানির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া, রোজার মাস সামনে রেখে তেল, চিনি ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণ, প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category