• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী তীব্র শিক্ষক সঙ্কট নিয়েই চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ৮ দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির আদেশ বহাল দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোয়াংছড়ি উপজেলার কুকি চীন সন্ত্রাসী বাহিনীরা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির গ্রস্তে সেনা পরিদর্শন করেন ১৬ আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো পণ্যবাহী নতুন লাগেজ ভ্যান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বাড়লে সুফল প্রকল্প সহায়ক হবে: পরিবেশ মন্ত্রী

Reporter Name / ৩০১ Time View
Update : সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা হবে। বনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীলতা হ্রাসসহ বনজ সম্পদ উজাড় রোধে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা হবে। এতে বনাচ্ছাদন বৃদ্ধি পাবে, বনের বাইরে বৃক্ষাচ্ছাদন বৃদ্ধির উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে ফলে অচিরেই দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ শতকরা ২২ দশমিক ৩৭ ভাগ হতে ২৪ ভাগে উন্নীত করা সহজ হবে। গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ‘কমিউনিটি অপারেশন্স ম্যানুয়াল’ চূড়ান্তকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, যুগ্ম সচিব সচিব (উন্নয়ন) জাকিয়া আফরোজ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় প্রমুখ। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট ৮ বিভাগের ২৮টি জেলার ১৬৭টি উপজেলায় অবস্থিত ২৬টি বন বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে তিন ধরনের ল্যান্ডস্কেপে ৩২ ধরনের বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ৫২ হাজার ৭২০ হেক্টর অবক্ষয়িত ও বৃক্ষশূন্য পাহাড়ি ও সমতল বনভূমির ল্যান্ডস্কেপে বনাচ্ছাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী তৈরিতে উপকূলের ল্যান্ডস্কেপে ২৪ হাজার ৮৮০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নে পশুখাদ্য ও ফলজ গাছ রোপণের মাধ্যমে ২০টি রক্ষিত এলাকায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়ন এবং ১ হাজার ৩৩০ হেক্টর করিডোর উন্নয়নের কাজ চলছে। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এসব বনায়নের মাধ্যমে বনাচ্ছাদন বৃদ্ধির এ উদ্যোগ সার্থক করার জন্য সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত বননির্ভর মোট ৪০ হাজার পরিবারের প্রত্যেককে সুফল প্রকল্প থেকে ৪২ হাজার টাকা ঘুর্ণায়মান জীবিকা উন্নয়ন তহবিল হিসেবে দেওয়া হবে। এছাড়া কমিউনিটিভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি বন সংরক্ষণ গ্রামে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা কমিউনিটি উন্নয়ন তহবিল হিসেবে দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে অনুমোদন করা চার খ-ের কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল (সিওএম) বননির্ভর গ্রাম ও পরিবার নির্বাচন, সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কমিটি/সাব-কমিটি তৈরি, প্রশিক্ষণ এবং জীবিকা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category