• রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
দুদক কর্মকর্তাদের নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছে ভোক্তা-অধিকার রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি বান্দরবানে হুমকির মুখে সরকারের হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বান্দরবান জেলা সদর সহ ৬ টি উপজেেলায় শিশুদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া হবে বান্দরবানে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মাদকদ্রব্য ধ্বংস বিচারপতির গাড়িতে তেল কম দেওয়ায় ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ১২ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ ক্রমাগত কমছে

বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আমনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পাহাড়ি ও বাঙ্গালী কৃষকেরা

মোঃ জুয়েল হোসাইন : / ৮৭ Time View
Update : বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এখন পর্যন্ত একহাজার একশত পচিশ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে,তার মধ্যে জেলা সদরে ১৩৩ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপন করেছে কৃষকেরা।গেলো বছরের এই দিনে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে বিজতলা তৈরী ও ধান রোপনে তেমন কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় নি পাহাড়ি জুমচাষী ও বাঙ্গালী চাষিদের। মূলত এই জেলায় সমতল ও পাহাড়ে জুম চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন করে এই অঞ্চলের চাষীরা। সরজমিনে দেখা যায় জেলা সদরের ক্যামলং,ডলুপাড়া,লেমুঝিড়ি,বাগমারা সহ বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষি নির্ভর সমতল ও পাহাড়ি জমিতে উত্তপ্ত রোদ মাথায় নিয়ে,নতুন করে আমন জাত ব্রি ধান – ৪৯, ব্রি ধান – ৭৫, ব্রি ধান – ৮৭ এবং জুমের জন্য চিনাপ্রু, বিন্নি, বার্মা ইরি, ব্রি ধান – ৪৮ ধানের চারা রোপনে ব্যাস্ত সময় পার করছে স্থানীয় কৃষকেরা। যদিও জুমের ধান অনেক আগেই রোপন করা হলেও অনাবৃষ্টির কারনে জুমের ধানেও রং আসেনি এখনো। চলতি মৌসুমে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাংঙ্গালী কৃষকেরা নিজের অথবা জমি বর্গা নিয়ে কয়েক একর জমিতে করেছেন আমনের চাষ।এছাড়াও জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি,রোয়াংছড়ি,থানছি উপজেলা গুলোতেও সমতল ও পাহাড়ি জুমের জমীতে ধানের চাষাবাদ বেশি হয়। চলতি বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমান কম হওয়ার কারনে ধানের বিজতলা হতে বিজ সংগ্রহ ও জমিতে রোপনের কাজে পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। স্থানীয় কৃষকেরা জানান বৃষ্টি পাত কম হওয়ার কারনে চাষের জমীর পাশের ঝিড়ি হতে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি আনতে হচ্ছে। তবে তা চাষাবাদের জন্য মোটেও পর্যাপ্ত নয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমান কম হওয়ায় ঝিড়িতেও তেমন পানির সরবরাহ নেই। আর তাই অনেক অনাবাদি কৃষি জমিতে পানির সমস্যার কারনে ঠিকভাবে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।এছাড়া জমীতে পানি সেচের জন্য ঝিড়ি হতে মটরের মাধ্যমে পানি আনতে হচ্ছে যা খুবই ব্যায়বহুল। জেলার সমতলের চাষিদের জমিতে পানি সেচের একটা কিছু ব্যাবস্থা হলেও পাহাড়ি জমি গুলোতে জুম চাষিদের বিড়ম্বনা যেনো আরো অনেক বেশি। জুম চাষিদের পুরোপুরি নির্ভর করতে হচ্ছে প্রাকৃতিক ভাবে হওয়া বৃষ্টির উপর। এ জন্য অনেক স্থানীয় পাহাড়ি কৃষক তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনাও করছেন বলে জনান ঢলুপাড়ার এক কৃষক উনু মং।সে বলে “গত বছর এই সমত ভালা বৃষ্টি হইয়ে,আরা ভালা ফলন পাই” “এহনের হতা ত হইত ন পারির” ব্যাকুল কৃষকের এই কথায় বোঝা যায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারনে কতটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত অর্থবছরে জেলা সদর সহ ৬ টি উপজেলায় ১১৪৩৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। চাষকৃত জমি হতে ৩৬১৬৭ মেট্রিকটন চাউল আহরিত হয়েছে।জেলায় চলতি বছরে ১১৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি অফিস জানায় কৃষকদের প্রনোদিত করতে সরকারি খরচে ৫ কেজি বিজ,১০কেজি এমওপি,১০কেজি ডিএপি ষার প্রদান করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক জানান প্রণোদনার উদ্দেশ্য পুরাতন জাত প্রতিস্থাপন করে অধিক ফলনশীন ও স্বল্পজীবনকালের উফশী জাত ব্যবহার করে আমনের উৎপাদন বাড়ানো, সেজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদেরকে ১ বিঘা জমিতে আবাদের জন্য ব্রিধান৮৭ জাতের আমন ধানের বীজ ৫ কেজি, এমওপি ও ১০ কেজি এবং ডিএপি ১০ কেজি প্রদান করা হয়েছে। এই কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন বৃষ্টিপাত কম হলেও আশা করছি এ বছরেও আমন ধানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব এবং এ বিষয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,বান্দরবান জেলা কার্যালয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category