• সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
দদুর্নীতির বড় অভিযুক্তরা পাশের দেশে আছেন: দুদক চেয়ারম্যান এবারও আসছে তীব্র তাপপ্রবাহ, নেই তেমন প্রস্তুতি লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যে সাবেক এমপি চয়নকে গ্রেফতার করলো পুলিশ হাওরে কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ‘ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ২৫ কর্মকর্তার লকারই পায়নি দুদক কৃষিঋণ বিতরণ কমায় বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা আমরা একটি সুস্থ জাতি দেখতে চাই: সেনাপ্রধান

ব্যাংকের ঝুঁকি কমাতে বড় ঋণে লাগাম টানলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

Reporter Name / ২৭১ Time View
Update : সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্যাংকের ঝুঁকি কমাতে বড় ঋণে লাগাম টেনে ধরেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে একক গ্রাহক বা গ্রুপকে কোনো ব্যাংক ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলে মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ দিতে পারবে না। এতোদিন ১৫ শতাংশ ফান্ডেডসহ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল। তাছাড়া সব মিলিয়ে ব্যাংকের বড় ঋণ হবে মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৪০০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, একটি ব্যাংক একক গ্রাহক বা গ্রুপকে মূলধনের ১০ শতাংশ ঋণ দিলে তা বড় ঋণ বা লার্জ লোন হিসেবে বিবেচিত হয়। এতোদিন শুধু একক গ্রাহকের ঋণ সীমার বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও সব মিলিয়ে কী পরিমাণ বড় ঋণ দিতে পারবে তা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। তাতে করে এক ব্যাংক একাধিক গ্রাহককে বড় ঋণ দিতে পারতো। তবে এখন থেকে মোট মূলধনের ৪০ শতাংশের বেশি দিতে পারবে না। আর ফান্ডেড ঋণ বলতে-ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা দেয়াকে বোঝায়। আর নন-ফান্ডেড বলতে এলসি, গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন দায়কে বোঝানো হয়। সূত্র জানায়, কোনো একক গ্রাহককে একটি ব্যাংক থেকে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে। তবে সাধারণভাবে কোনো অবস্থাতেই ফান্ডেড ঋণের পরিমাণ ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ২৫ শতাংশের পুরোটাই ফান্ডেড দেয়া যাবে। একক গ্রাহকের ঋণ সীমা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ ২০১৪ সালে সার্কুলার জারি করেছিল। ওই নীতিমালায় কিছু পরির্তনসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। আগের মতোই একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হারের সঙ্গে বড় ঋণের মোট সীমা দেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও কিছুটা কড়াকড়ি আনা হয়েছে। এতোদিন খেলাপি ঋণের পাঁচটি ধাপ বিবেচনায় বড় ঋণ দেয়ার সুযোগ ছিল। এখন ৬টি ধাপ করা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৩ শতাংশ বা তার কম থাকলে ওই ব্যাংক মোট ঋণের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দিতে পারবে। আগে ৫ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ থাকলে মোট ঋণের ৫৬ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারতো। এখন ৩ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের ব্যাংক মোট ঋণের ৪৬ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। আর কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ থেকে ১০ শতাংশ হলে ওই ব্যাংক মোট ঋণের সর্বোচ্চ ৪২ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। এতোদিন ওই ধরনের ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দেয়ার সুযোগ ছিল। এখন থেকে যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ওই ব্যাংক সব মিলিয়ে ৩৮ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। আগে দিতে পারতো ৪৮ শতাংশ। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ খেলাপি ঋণের ব্যাংক ৩৪ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। এতোদিন ওই রকম খেলাপি ঋণের একটি ব্যাংক মোট ঋণের ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দিতে পারতো। খেলাপি ঋণের হার ২০ শতাংশের বেশি হলে এখন থেকে সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ বড় ঋণ দেয়া যাবে। এতোদিন সেক্ষেত্রে মোট ঋণের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দেয়া যেতো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category