১২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

ব্রিটিশ শাসনামলে হালদা নদীর উপর নির্মিত সেতু এখন মরণফাঁদ

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৬৩১ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
উত্তর জেলা হাটহাজারী ফটিকছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সহজ যোগাযোগের একমাত্র নাজির হাট পুরাতন সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ১৯১৯ সালে সেতুটি নির্মিত হলে দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করে। সেতুটিকে কেন্ত্র করে হালদা নদীর এপার ওপারে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ মাদ্রাসা অসংখ্যা সমাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। দুই পারে ব্যাবসা বাণিজ্যা প্রসারিত হয়। ১৯৭১ সালে স্বীধীনতা যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিণী সেতুটি বোমা বিস্ফোনরনে উড়িয়ে দেয়, পরে মেরামত করে সরকার। তার পরে বিগত বছর গুলোতে সেতুতে আর কোন মেরামতের ছোঁয়া লাগেনি এখানে নতুন একটি সেতু নির্মানে গেল দুই দশক ধরে চেষ্টা তদবীর হলেও তা কেবল পরিদর্শন মাটি পরিক্ষায় সীমাবদ্ধ রয়ছে। সওজ ও জনপথ বিভাগ প্রায় দুই যুগ পূর্বে সেতুটি চলাচলের অযোগ্য ঘোষনা করলেও এখানে বিকল্প সেতু না থাকায় দুই উপজেলার প্রায় দশ ১০ হাজার পথচারী প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে পারাপার হয়। তাছাড়া বিগত কয়েক বছর ধরে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের প্রবল গ্রোতে সেতুর মাঝখানে দেবে গেছে। বিকল হয়ে পড়েছে সেতুর নানা অবকাঠোমো। গত ৮ -৯ বছর আগেও সেতু দিয়ে হালকা যানবাহন রিক্সা সিএনজি চলাচল করলেও বর্তমানে মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তারপরও দুই উপজেলার সহজ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু দিয়ে মূত্যু ঝুকিঁ নিয়ে মানুষ চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। তাই বড় কোন দূঘটনার আগে গুরুত্বপূণ এই সেতুটির মেরামত ও বিকল্প সেতু নির্মানের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছে স্থানীয় জনসাধারণ। এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার এলজিইডির উপ প্রকৌশলীর কাছে টেলিফোনে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আইন বার্তাকে জানান হালদা নদীর উপর নতুন সেতু নির্মানে সেতু বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরায় কোটি টাকা ছিনতাই: দুইদিনেও শনাক্ত হয়নি কেউ

ব্রিটিশ শাসনামলে হালদা নদীর উপর নির্মিত সেতু এখন মরণফাঁদ

আপডেট সময়ঃ ০৯:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
উত্তর জেলা হাটহাজারী ফটিকছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সহজ যোগাযোগের একমাত্র নাজির হাট পুরাতন সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ১৯১৯ সালে সেতুটি নির্মিত হলে দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করে। সেতুটিকে কেন্ত্র করে হালদা নদীর এপার ওপারে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ মাদ্রাসা অসংখ্যা সমাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। দুই পারে ব্যাবসা বাণিজ্যা প্রসারিত হয়। ১৯৭১ সালে স্বীধীনতা যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিণী সেতুটি বোমা বিস্ফোনরনে উড়িয়ে দেয়, পরে মেরামত করে সরকার। তার পরে বিগত বছর গুলোতে সেতুতে আর কোন মেরামতের ছোঁয়া লাগেনি এখানে নতুন একটি সেতু নির্মানে গেল দুই দশক ধরে চেষ্টা তদবীর হলেও তা কেবল পরিদর্শন মাটি পরিক্ষায় সীমাবদ্ধ রয়ছে। সওজ ও জনপথ বিভাগ প্রায় দুই যুগ পূর্বে সেতুটি চলাচলের অযোগ্য ঘোষনা করলেও এখানে বিকল্প সেতু না থাকায় দুই উপজেলার প্রায় দশ ১০ হাজার পথচারী প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে পারাপার হয়। তাছাড়া বিগত কয়েক বছর ধরে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের প্রবল গ্রোতে সেতুর মাঝখানে দেবে গেছে। বিকল হয়ে পড়েছে সেতুর নানা অবকাঠোমো। গত ৮ -৯ বছর আগেও সেতু দিয়ে হালকা যানবাহন রিক্সা সিএনজি চলাচল করলেও বর্তমানে মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তারপরও দুই উপজেলার সহজ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু দিয়ে মূত্যু ঝুকিঁ নিয়ে মানুষ চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। তাই বড় কোন দূঘটনার আগে গুরুত্বপূণ এই সেতুটির মেরামত ও বিকল্প সেতু নির্মানের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছে স্থানীয় জনসাধারণ। এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার এলজিইডির উপ প্রকৌশলীর কাছে টেলিফোনে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আইন বার্তাকে জানান হালদা নদীর উপর নতুন সেতু নির্মানে সেতু বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।