• মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

ভারতের নির্বাচনের পরই দীর্ঘমেয়াদি ভিসার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নানক

Reporter Name / ২৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারতের ভিসাপ্রাপ্তি সহজ করা, ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি চাপ কমাতে দুই বছর মেয়াদি ভিসা চালু বা দীর্ঘমেয়াদি ভিসার বিষয়ে দেশটির নির্বাচনের পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী নানক সাংবাদিকদের এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, আজ (মঙ্গলবার) ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের ভিসা পেতে মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছে, ভিসা ব্যবস্থা আরও সহজ করার জন্য অনুরোধ করেছি, যাতে মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পেতে পারে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা নিয়ে হাইকমিশনার কী বললেন, জানতে চাইলে নানক বলেন, আমরা যেসব সমস্যার কথা বলেছি, সেসব বিষয়ে তিনি (হাইকমিশনার) একমত হয়েছেন। হাইকমিশনার বলছেন, যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সহজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেশি লোড (চাপ) হয়, যা কখনো কখনো ওভারলোড হয়ে যায়। তা সামাল দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন, তা করতে হবে। তিনি বলেন, আমি গত বছর রাজনৈতিক সফরে ভারতে গিয়েছিলাম। সে সময় ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকালেও বিষয়টি বলেছি। চাপ কমাতে ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলেছি, সৌদি আরবও ভিসা অনেক সহজ করেছে। আপনাদের আগের জায়গায় থাকলে চলবে না। আপনারা বলছেন, ওভারলোড হচ্ছে। দুই বছর মেয়াদি ভিসা দিলে লোড কম হতো। লোড কমাতে ভিসা দীর্ঘমেয়াদি করতে হবে। এ বিষয়ে হাইকমিশনার একমত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, তারা চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাটের অ্যান্টি ডাম্পিং নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পাটমন্ত্রী বলেন, ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পরে দুই সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। আমরা আমাদের পাটকলগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য বলেছি। ইতোমধ্যে ভারতের তিনটি কোম্পানি আমাদের তিনটি জুটমিলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং কারো কারো সঙ্গে আমাদের চুক্তিও হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করি। এজন্য আমরা বলেছি আমাদের মানসম্পন্ন পাটবীজ দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাটবীজ দিতে হবে। কোনোক্রমেই যে বিলম্ব না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, ভারত সিল্কে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। সিল্ক উৎপাদনে ভারত পৃথিবীর শীর্ষে। এজন্য দেশে মানসম্মত সিল্ক উৎপাদনে আমাদের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। টেক্সটাইল খাতে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছি। এটি আরও জোরদার করতে একমত হয়েছেন। আমাদের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ আমাদের অনেকগুলো জুটমিল বন্ধ হয়ে আছে। সেগুলোকে আবার কর্মযজ্ঞে ফেরাতে চাই। এ বিষয়ে সোহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেছি। পাটবীজ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাট অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারা দেশে একটি প্রজেক্ট চালু রয়েছে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। এর মাধ্যমে আমরা পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারব। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতে নির্বাচন চলছে, আমরাও নির্বাচন করেছি। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে অনেকেই আনন্দে আটখানা হয়েছিলেন। ডোনাল্ড লু যেন এসেছিলেন তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার জন্য। নির্বাচনের পর ডোনাল্ড লু আবার এসেছেন। ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য বাংলাদেশ সরকার, জনগণের সরকার ও শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সার্বিকভাবে আরও সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ এবং দৃঢ় করতে তিনি এসেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category