০১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় টিটিইকে বরখাস্ত ঠিক হয়নি: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কথিত আত্মীয়দের রেলমন্ত্রীর না চেনার তথ্য সঠিক, একই সঙ্গে মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় (টিটিইকে) সাময়িক বরখাস্ত সমীচীন নয়। এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের জানান, গতকাল (শনিবার) পর্যন্ত তিনি জানতেন না যে অভিযোগকারীরা তার স্ত্রীর আত্মীয়। পরে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে মন্ত্রীর স্ত্রী শুধুমাত্র অভিযোগ করেছেন, কাউকে সাসপেনশন করতে বলেননি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে তিন যাত্রী বিনা টিকিটে এসি কেবিনের সিট দখল করে বসেন। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিই শফিকুল ইসলাম তাদের টিকিট দেখতে চাইলে তারা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। টিটিই বিষয়টি নিয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) মো. নুরুল আলমের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে টিকিট কাটার পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী টিটিই শফিকুল ইসলাম ওই তিন যাত্রীকে এসি টিকিটের পরিবর্তে মোট এক হাজার ৫০ টাকা নিয়ে জরিমানাসহ সুলভ শ্রেণির নন-এসি কোচে সাধারণ আসনের টিকিট করে দেন। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত অ্যাটেনডেন্টসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাকশী বিভাগীয় রেল সূত্র জানায়, ওই তিন যাত্রী তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। তবে ঢাকায় পৌঁছে তাদের একজন টিটিই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণের’ লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ পেয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতেই শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি তখন বলেছিলেন, বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা আমার আত্মীয় নয়, তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এদিকে টিটিইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া মো. ইমরুল কায়েস রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আক্তারের মামাতো বোন ইয়াসমিন আক্তার নিপার ছেলে। তারা ঈশ্বরদীর নূর মহল্লায় বসবাস করেন। ইমরুল কায়েস নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত। আর তার ট্রেনযাত্রার সঙ্গী হাসান ও ওমর রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মীর মামাতো ভাই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের কারাদ-

মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় টিটিইকে বরখাস্ত ঠিক হয়নি: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৭:২০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কথিত আত্মীয়দের রেলমন্ত্রীর না চেনার তথ্য সঠিক, একই সঙ্গে মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় (টিটিইকে) সাময়িক বরখাস্ত সমীচীন নয়। এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের জানান, গতকাল (শনিবার) পর্যন্ত তিনি জানতেন না যে অভিযোগকারীরা তার স্ত্রীর আত্মীয়। পরে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে মন্ত্রীর স্ত্রী শুধুমাত্র অভিযোগ করেছেন, কাউকে সাসপেনশন করতে বলেননি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে তিন যাত্রী বিনা টিকিটে এসি কেবিনের সিট দখল করে বসেন। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিই শফিকুল ইসলাম তাদের টিকিট দেখতে চাইলে তারা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। টিটিই বিষয়টি নিয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) মো. নুরুল আলমের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে টিকিট কাটার পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী টিটিই শফিকুল ইসলাম ওই তিন যাত্রীকে এসি টিকিটের পরিবর্তে মোট এক হাজার ৫০ টাকা নিয়ে জরিমানাসহ সুলভ শ্রেণির নন-এসি কোচে সাধারণ আসনের টিকিট করে দেন। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত অ্যাটেনডেন্টসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাকশী বিভাগীয় রেল সূত্র জানায়, ওই তিন যাত্রী তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। তবে ঢাকায় পৌঁছে তাদের একজন টিটিই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণের’ লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ পেয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতেই শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি তখন বলেছিলেন, বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা আমার আত্মীয় নয়, তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এদিকে টিটিইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া মো. ইমরুল কায়েস রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আক্তারের মামাতো বোন ইয়াসমিন আক্তার নিপার ছেলে। তারা ঈশ্বরদীর নূর মহল্লায় বসবাস করেন। ইমরুল কায়েস নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত। আর তার ট্রেনযাত্রার সঙ্গী হাসান ও ওমর রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মীর মামাতো ভাই।