• শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

মানবতাবিরোধী অপরাধ: করোনা আক্রান্ত আসামি, সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি

Reporter Name / ২৩৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হক (৬৯) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আসামি অসুস্থ থাকায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম এ আদেশ দেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিন ছিল আজ। এদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ওয়াহিদুল হক করোনা আক্রান্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আসামি অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এ সময় ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২৫ এপ্রিল তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল আসামি ওয়াহিদুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রসিকিউশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়
১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ রবিবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় অভিযুক্ত ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুল হক রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৯ ক্যাভেলরি রেজিমেন্টের অ্যাডজুটেন্টের দায়িত্বে থেকে চারটি সামরিক জিপে মেশিনগান লাগিয়ে গুলি বর্ষণ করে রংপুর সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় ৫শ’ থেকে ৬শ’ স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে হত্যা, গণহত্যা ও অসংখ্য মানুষকে গুরুতর আহত করে। গুলিবর্ষণ করে সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ঘরে আগুন দেয়। হত্যা, গণহত্যার শিকার মানুষের লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে কয়েকটি গর্তে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৪ মার্চ সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। এরপর একই বছরের ১৬ অক্টোবর ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
সূত্র-ল’ইয়ার্সক্লাব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category