০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

মানসম্মত ইন্টারনেট নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের ধীরগতির সমাধান এবং মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার সেবা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষ মোবাইল কোম্পানির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসিকে) ৬০ দিনের মধ্যে এফিডেভিট আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল। আদেশের পাশাপাশি একই সঙ্গে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারা অধীনে ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী কেন হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১২ জুন মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে গ্রাহকদের স্বার্থে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতিসম্পন্ন সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মোবাইল গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য, সাংবাদিক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট করেন। এতে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইল গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেওয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মোবাইল কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষ দিকে। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দুর্বল যে, অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা থেকে বঞ্চিত। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যবহার করা যায় না। অথচ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারণ হলো ধীরগতি। বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ অভিযোগ জমা হয় বিটিআরসিতে, কিন্তু গ্রাহকরা এখনও ভোগান্তির শিকার। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পরও এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয় বলে জানান আইনজীবী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সমুদ্রসম্পদ আহরণের জন্য গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে:চসিক মেয়র

মানসম্মত ইন্টারনেট নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

আপডেট সময়ঃ ১০:২৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের ধীরগতির সমাধান এবং মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার সেবা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষ মোবাইল কোম্পানির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসিকে) ৬০ দিনের মধ্যে এফিডেভিট আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল। আদেশের পাশাপাশি একই সঙ্গে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারা অধীনে ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী কেন হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১২ জুন মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে গ্রাহকদের স্বার্থে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতিসম্পন্ন সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মোবাইল গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য, সাংবাদিক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট করেন। এতে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইল গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেওয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মোবাইল কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষ দিকে। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দুর্বল যে, অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা থেকে বঞ্চিত। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যবহার করা যায় না। অথচ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারণ হলো ধীরগতি। বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ অভিযোগ জমা হয় বিটিআরসিতে, কিন্তু গ্রাহকরা এখনও ভোগান্তির শিকার। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পরও এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয় বলে জানান আইনজীবী।