• শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
গণমাধ্যমকে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান রাষ্ট্রপতির প্রযুক্তিতে দক্ষ না হলে অনেক দরজা বন্ধ হয়ে যাবে: স্পিকার সহযোগী দিয়ে নিজ কর্মীকে জখম, চবি ছাত্রলীগ সভাপতির অডিও ফাঁস খালেদার দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৭ জুন ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনে সংসদে বিল উত্থাপন বান্দরবানে নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় আলোচনা সভা বিদ্যুৎকেন্দ্রে গিয়ে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে প্রতিহত করা হবে: তথ্যমন্ত্রী শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক বিরোধীরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে: কৃষিমন্ত্রী এক মাসের মধ্যে কারাগারগুলোতে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ

মিজান-বাছিরের মামলার রায় আগামীকাল

Reporter Name / ৯৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুস লেনদেনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করা হবে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিউপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। তারও এর আগে ৩ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর ২৪ জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে দুদক। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়। এরপর নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ওই বছরই ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। মামলার তদন্তকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে এনামুল বাছির তার কাছে ৪০ লাখ টাকা ঘুস নেন। এ অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘুস লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তিন সদস্যের একটি দলকে। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি। এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন। গত বছরের (২০২১ সাল) ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা অপর এক মামলায় মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category