• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০১:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
সন্ত্রাস দমন অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি বান্দরবানে সেনা প্রধান বিস্ফোরণের ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় বায়োগ্যাসে ঝুঁকছে গ্রাহকরা রেল দুর্ঘটনা রোধে সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ‘পেশাদার’ ও ‘রাজনৈতিক’ সমালোচকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর পৃথক বার্তা বছরে তৈরি হচ্ছে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য, পরিবেশে মিশছে ৬০% বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ: নিহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের স্মরণ সহকর্মীদের যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে ১০ সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে : ইসি নীলফামারীতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ বান্দরবানে প্রায় সাড়ে ৩কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস সংসদীয় আসনগুলোর চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ, ১০টিতে পরিবর্তন

মিশরীয় উড়োজাহাজ ভাড়ায় অনিয়ম: দুদকের তদন্ত চায় সংসদীয় কমিটি

Reporter Name / ৯০ Time View
Update : শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মিশরীয় উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার অনিয়ম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে তদন্ত চায় সংসদীয় কমিটি। লিজের ঘটনা নিয়ে সংসদীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ এনে কমিটি দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কাজী ফিরোজ রশীদ ও তানভীর ইমাম অংশ নেন। কমিটির আগের বৈঠকে সংসদীয় সাব কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা সার সংক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে কমিটির সদস্যরা সন্তুষ্ট না হয়ে অধিতকর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানোর সুপারিশ করেন। তবে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি জানানো হয়নি। অবশ্য বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। দশম সংসদের বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি দুটি মিশরীয় উড়োজাহাজ দুটি লিজ নেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। ওই সময় তারা লিজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তা তদন্তে একটি সাব কমিটিও গঠন করেছিল। বর্তমান একাদশ সংসদের কমিটিও নতুন করে আরও একটি সাব কমিটি গঠন করে। ওই সাব কমিটি বেশকিছু অনিয়ম পেয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করে। পাশাপাশি কমিটি জড়িতদের কমিটিতে ডেকে ব্যাখ্যা নিয়েছে। এদিকে সংসদীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে কমিটির আগের বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে যে সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয় তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা। ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, মিশরীয় এয়ারক্রাফট লিজ প্রক্রিয়ার দুর্নীতি সম্পর্কিত সাব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় যে সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে তা অসমাপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ নয়। তিনি ব্যারিস্টার তানজিবুল আলমকে সর্বপ্রথম আইনের আওতায় আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া তিনি লিজ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানোর সুপারিশ করেন। তানভীর ইমাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তদন্তের পর সাব কমিটি সুপারিশ করেছে তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের সাবসংক্ষেপে প্রতিবেদন যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি সুপারিশগুলো তদন্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দুদকে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। সৈয়দা রুবিনা আক্তার বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তদন্ত করে সাব কমিটি প্রতিবেদন দিলো কিন্তু এর ওপর মন্ত্রণালয় যে সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি সাব কমিটির সুপারিশ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে পিবিআই বা দুদককে দিয়ে অতিকতর তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন। কমিটির সদস্য কানিজ ফাতেমাও দ্রততার সঙ্গে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেন। পরে বৈঠকে দুটি মিশরীয় এয়ারক্রাফট লিজ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে গঠিত সংসদীয় সাব কমিটির প্রতিবেদন বিশেষ করে চুক্তিপত্র প্রণয়ন ও যান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাকরণ টিমের কার্যক্রম ত্রুটিপূর্ণ থাকায় স্থায়ী কমিটির সুপারিশসহ এসব বিষয়ে আরও অধিকতর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমানকে। দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজের পেছনে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বিমানের ক্ষতি হয়েছে ১১শ কোটি টাকা। দুটি উড়োজাহাজের জন্য প্রতিমাসে বিমান ১১ কোটি টাকা করে ভর্তুকি দিয়ে আসছিল। সেই দায় থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাসে মুক্ত হয় বিমান। এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ সুসংবদ্ধভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে বিদ্যমান নীতিমালা পরিমার্জনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। কমিটি হোটেল সোনারগাঁও ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালকে যথাযথভাবে পরিচালনার স্বার্থে নির্বাহী কমিটি গঠনসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করার সুপারিশ করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category