নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মোহাম্মদ ইলিয়াছ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার দুপুরে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, আগের দিন বিকালে কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ইলিয়াছ। ইলিয়াছ (৩৫) উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রজক আলীর ছেলে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ ওরফে মাস্টার মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় পরদিন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাসানুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে তিনদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গত শনিবার আদালতে আনা হয়। তাদের মধ্যে ইলিয়াছ আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে সন্ধ্যায় ইলিয়াছসহ বাকি আসামিদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশ সুপার। এর আগে গত রোববার দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-৫ এ অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। এছাড়া শুক্রবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ সেলিমকে (৩৩) ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) সদস্যরা গ্রেপ্তার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে। এর আগে গত শনিবার ভোরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে জিয়াউর রহমান ও আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করে ১৪ এপিবিএন। ওই দিন বিকেলে উখিয়া থানা পুলিশ শওকত উল্লাহ (২৩) নামে আরেকজনকে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।