• বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
গুইমারায় ট্রাক ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতি’র শুভ উদ্বোধন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত পুলিশসহ সব সরকারি কর্মকর্তাকে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা বিদ্বেষপূর্ণ খালেদা জিয়া-তারেকসহ সব আসামি খালাস পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার কাজ চলছে: আইজিপি পদত্যাগ করলেন টিউলিপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচারের আশা আইন উপদেষ্টার বিপুলসংখ্যক গাড়ির ইঞ্জিন ভেজাল জ্বালানি তেলে নষ্ট হলেও পর্যাপ্ত নজরদারি নেই বছরের পর বছর নিলামের অপেক্ষায় কয়েক হাজার পণ্যভর্তি কনটেইনার

মেজর জিয়াকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: র‌্যাব

Reporter Name / ২৭৮ Time View
Update : বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াকে খুঁজছে র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত এ আসামি দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই গা-ঢাকা দিক না কেন, তাকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা ও আসামিদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবই প্রথম কাজ করে। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় আসামিদের বিচার নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করেছে। মেজর জিয়ার খোঁজ করতে বিভিন্নভাবে কাজ করেছে র‌্যাব। সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সংগঠনের সঙ্গে মেজর জিয়ার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এর সূত্র ধরেও তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে র‌্যাব। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, এরআগে বিভিন্ন সময় তথ্য ছিল মেজর জিয়া দেশে আছে, পরবর্তীতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। আমাদের সন্দেহ, সে এখন দেশের বাইরে রয়েছে। তিনি বলেন, মেজর জিয়াকে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি চলমান। এ বিষয়ে র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। দেশের বাইরে থাকলেও তাকে খুঁজে বের করে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে, দেশে থাকলে খোঁজ পাওয়ামাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ওই বছরের ৬ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ মামলায় ২৮ জন সাক্ষীকে বিভিন্ন সময়ে আদালতে হাজির করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদ- ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান। রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন- মেজর (বরখাস্ত হওয়া) সৈয়দ জিয়াউল হক, জঙ্গিনেতা আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম। তাদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম পলাতক। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত একমাত্র আসামি শফিউর রহমান ফারাবী আছেন কারাগারে। অর্ধযুগেরও বেশি সময় আগে অভিজিৎ হত্যা মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যে কয়েক বার দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার সন্ধান পায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা এখনো সফল হয়নি। তবে জিয়াউল হক এখন ‘দেশে নেই’ বলে গত মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ওই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে, তারা (জিয়া ও আকরাম) দেশে নেই। তারা অন্য দেশে গা-ঢাকা দিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাদের ধরে এনে রায় কার্যকর করা হবে। এজন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, জিয়াউল হক জিয়াসহ অভিজিৎ হত্যাকা-ে জড়িতরা এখনো বাংলাদেশেই রয়েছে। এই দুজনের সন্ধান চেয়ে গত রোববার ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণার সময় এ ধারণা ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীন রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস (আরএফজে)। সৈয়দ জিয়াউল হক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান বলে তথ্যপ্রমাণ থাকার কথা বলে আসছে পুলিশ। এই জঙ্গি সংগঠনটির আল-কায়দার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলেও বলা হয়ে থাকে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আধ্যাত্মিক নেতা জসীমুদ্দিন রাহমানীকে গ্রেপ্তারের পর জিয়াউল হকের উগ্রপন্থায় সম্পৃক্ততার কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। তারা বলছেন, ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা লেখকসহ অন্তত নয়জনকে টার্গেট করে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত এই সেনা কর্মকর্তা। এছাড়াও আরও কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category