• সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার

যথাসময়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরামর্শ ইউজিসির

Reporter Name / ৪৯২ Time View
Update : সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ার কারণে বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। যথাযথ আর্থিক শৃঙ্খলার অভাবে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অডিট আপত্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু ও শেষ করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট আপত্তি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সমন্বিত আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন, প্রি-অডিট ও মনিটরিং সেল জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। গতকাল সোমবার ইউজিসিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ‘অডিট পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এসময় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শামসুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে খরচও বেড়ে যাচ্ছে। অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শুরু ও শেষ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, রাজস্ব বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার না হওয়ার কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অব্যয়িত অর্থ থেকে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও অদক্ষতা প্রমাণিত হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে অডিট আপত্তি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ইউজিসির অডিট মনিটরিং সেল জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান। ড. মো. আবু তাহের বলেন, পাবলিক বিশ্ববদ্যালয়ের আর্থিক ব্যয়ে যে কোনো মূল্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কোথাও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়নি। বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধানকে পাশ কাটিয়ে যারা বিধিবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেলকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অডিট সতর্কতার সঙ্গে নিষ্পন্ন করা এবং উন্নয়ন বাজেটে ব্যয় কমানোর পরামর্শ দেন। ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজার রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে ইউজিসির বিভাগীয় প্রধান এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেলের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category