• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

যাত্রী বাড়ায় দেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ

Reporter Name / ১০৩ Time View
Update : শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের অভ্যন্তরীণ আকাশপথে দিন দিন যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলে যাত্রীসেবা বাড়াতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) দেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো বর্তমান অবকাঠামো নিয়ে এতো বিপুলসংখ্যক যাত্রীসেবা দিতে প্রস্তুত নয়। সেজন্যই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের সেবা বাড়াতে দেশের অন্য বিমানবন্দরগুলোতেও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে বেবিচক। যার অংশ হিসেবে অচিরেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নীলফামারীর সৈয়দপুর, বরিশাল, যশোর ও রাজশাহী বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল ভবনের আধুনিকায়নের কাজ শুরু হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে করোনা মহামারী শুরুর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৫ লাখ। তবে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমে আসে। ওই বছর দেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রী ছিল ২০ লাখেরও কম। তবে কভিডের প্রভাব কিছুটা কমার পর আবারো অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী বাড়তে শুরু করে। গত বছর দেশের সব অভ্যন্তরীণ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রী ছিল প্রায় ৫০ লাখ। এ বছর তা আরো বেড়েছে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই দৈনিক ২শ’টির বেশি অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট ওঠানামা করছে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০১৩ সালে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে ২০১৭ সালে তা বেড়ে সাড়ে ১২ লাখে দাঁড়ায়। তারপর থেকে প্রতি বছরই অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অথচ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা তেমন বাড়েনি। ফলে অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক ফ্লাইট শিডিউল থাকলেও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোয় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। এয়ার অ্যাস্ট্রা ও ফ্লাই ঢাকা চলতি বছর ফ্লাইট কার্যক্রমে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন দুটি এয়ারলাইনসকেই শুরুতে অন্তত এক বছর অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে বর্তমানে ওই বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের জন্য যে টার্মিনালটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি অনেক আগের। আরো দুই বেসরকারি এয়ারলাইনস নতুন করে কার্যক্রমে আসছে। তাতে অচিরেই শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমান অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যাত্রীদের স্থান সংকুলান করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category