• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

যানবাহনের না চলায় ভোগান্তিতে উত্তরের সাধারণ মানুষ

Reporter Name / ৫৮ Time View
Update : শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশের আগে গত শুক্রবার থেকে চলা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলার যাত্রীদের ওপর। বাস না পেয়ে অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা, ভ্যানসহ ছোট গাড়িতে করে গন্তব্যে যান। রংপুরে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়ে গাইবান্ধার সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। এদিকে রাজশাহী থেকে রংপুরগামী সব ধরনের বাস চলাচল গত শুক্রবার ও আজ শনিবার দুই দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় রাজশাহীর পরিবহন নেতারা। গাইবান্ধা জেলা বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্র জানায়, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ডাকা ধর্মঘটে গাইবান্ধা থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের রুটগুলোতে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবুল আমিন নান্নু জানান, কেউ গাড়ি বন্ধের জন্য তাদের চাপ দেয়নি। সড়ক-মহাসড়কে প্রশাসনিক হয়রানি, ভটভটি, নছিমন, করিমনসহ লাইসেন্সবিহীন অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে রংপুর জেলা মোটর মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে গাইবান্ধায়ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বাদশা বলেন, গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সব রুট দিয়ে গাইবান্ধায় কোনো পরিবহন ঢুকবে না, বেরও হবে না। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মালিক ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নির্দেশে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে গাড়ি ভাঙচুর ও নিরাপত্তার আশঙ্কায় রংপুর ও বগুড়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। রংপুর মোটর মালিক সমিতির ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে গত শুক্রবার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সকাল ৬টা থেকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। টার্মিনালে বাস না পেয়ে অনেক যাত্রী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে গন্তব্যে যাত্রা করেন। তবে সকাল থেকে দূরপাল্লার বাসও কুড়িগ্রাম হয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সকালে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা রংপুরসহ জেলার বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। অনেকেই ভেঙে ভেঙে অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাচ্ছিল। কুড়িগ্রাম জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান বকসি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে রংপুরের ডাকা ধর্মঘটে আমাদের জেলার মোটর মালিকরা গাড়ি চালাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত মালিকদের। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে রংপুরগামী সর্বশেষ বাসটি ছেড়ে গেছে। শুক্র ও গতকাল শনিবার আর কোনো বাস ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর পরিবহন নেতারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, গতকাল শনিবার রংপুরে বিএনপির সমাবেশ ঘিরেই পরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। তবে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী থেকে রংপুরগামী সব বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে তাদের এই ধর্মঘট। রংপুরে ধর্মঘটের কারণে গত শুক্রবার সকাল থেকে নীলফামারীর অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত আকারে বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও নীলফামারী জেলা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে কার, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। নীলফামারী-ঢাকা চলাচলকারী নাবিল পরিবহনের প্রতিনিধি আবু আসলাম বলেন, সকালে আমাদের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ঢাকা থেকে বাসগুলো পার্বতীপুর হয়ে আসছে। জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী চৌধুরী বলেন আমরা নীলফামারী থেকে কোনো ধর্মঘটের ডাক দিইনি। গত শুক্রবার যাত্রীর চাপ কম থাকে, তাই আমাদের অভ্যন্তরীণ রুটে বাস কম চলেছে। ঠাকুরগাঁও জেলা মোটর পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। জেলার আঞ্চলিক সড়ক ও বৃহত্তর দিনাজপুরে বাস চলাচল করছে। তবে রংপুরে ধর্মঘট চলায় রংপুরগামী ঠাকুরগাঁওয়ের বাসগুলো সৈয়দপুর পর্যন্ত চলাচল করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category