• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে যুক্ত করা হচ্ছে নতুন খাত

Reporter Name / ২৪৫ Time View
Update : শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের রফতানি বাড়াতে সরকার উৎসাহ প্রদানে ভর্তুকি খাতে নগদ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। আর ওই খাতে চলতি অর্থবছরে সরকার বরাদ্দও বাড়িয়েছে। ফলে রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রাপ্তি যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন খাত। এবার ডিটারজেন্ট রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এখন থেকে প্লাস্টিক পণ্য রফতানির মতো মেলামাইন পণ্য রফতানির বিপরীতেও ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে নতুন করে আরো ৪টি খাত যুক্ত করেছে। সেগুলো হলো দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল ও বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশ, এমএস স্টিল পণ্য ও সিমেন্ট শিট। প্রতিটি পণ্য রফতানির বিপরীতে ৪ শতাংশ সহায়তা দেয়া হবে। নতুন ওই ৪টি পণ্য যুক্ত হওয়ার ফলে বর্তমানে নগদ সহায়তাপ্রাপ্ত রফতানি পণ্যের সংখ্যা ৪২ দাঁড়াল। ওসব পণ্য রফতানিকারকদের ন্যূনতম ২ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। ওই খাতে সরকার গত অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ বাড়িয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। আর গত ২০২০-২১ অর্থবছর রফতানি ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার ডিটারজেন্ট রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়ার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে প্লাস্টিক পণ্য রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে তা দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রফতানির মতো মেলামাইন পণ্য রফতানির বিপরীতেও ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
সূত্র আরো জানায়, সাধারণত বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোই প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করে থাকে। তবে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপশি পেট বোতল ফ্লেক্সও উৎপাদন ও রফতানি করে। প্লাস্টিক পণ্য এবং পেট বোতল ফ্লেক্স রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয় সরকার। কিন্তু সহায়তা প্রদান-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পেট বোতল ফ্লেক্স রফতানি করলে তাদের বাংলাদেশ পেট বোতল ফ্লেক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে। ফলে নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে পদ্ধতিগত জটিলতায় পড়েছেন পেট বোতল ফ্লেক্স রফতানিকারী প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। ওই বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের যেসব সদস্য প্লাস্টিক পণ্য এবং পেট বোতল ফ্লেক্স রফতানি করবে, তারা অ্যাসোসিয়েশনের একটি সনদ ইস্যু করলেই নগদ সহায়তা ওঠাতে পারবে। ওই সংক্রান্ত সুপারিশ অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category