• শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

রাজধানীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ

Reporter Name / ২৩৮ Time View
Update : সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীতে আশঙ্কাজনভাবে বাড়ছে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ। করোনার মহামারিজনিত উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতেও নারী-শিশু নির্যাতনের আগ্রাসন কমেনি। বিগত ২০১৪ সালে ঢাকায় ২৭৮টি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছিল। আর ২০২১ সালে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৫৫৬টি। অর্থাৎ ৭ বছরের ব্যবধানে রাজধানীতে ধর্ষণের মামলার সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাজধানীতে ২০২১ সালে সারা বছরে ধর্ষণের ৫৫৬টি মামলা হয়েছে। ২০২০ সালে ওই সংখ্যা ছিল ৫৬৯টি। ২০১৯ সালে ৫৭৮টি, ২০১৮ সালে ৩৭৮টি, ২০১৭ সালে ৩৭৫টি, ২০১৬ সালে ৩২৫টি, ২০১৫ সালে ৩১৬ ও ২০১৪ সালে ২৭৮টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালের পর থেকে ঢাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে ২০১৯ সালে ঢাকায় এক লাফে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা ২০০ বেড়ে যায়। ঢাকায় শিশু নির্যাতনেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিগত ২০১৪ সালে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয় ১৭৩টি, ২০১৫ সালে ১৮৭টি, ২০১৬ সালে ১৮০টি, ২০১৭ সালে ২৬৮টি, ২০১৮ সালে ২৮৮টি, ২০১৯ সালে ৩৮৮টি, ২০২০ সালে ৪২৬ ও ২০২১ সালে ৩৮৩টি মামলা হয়।
সূত্র জানায়, এক সময় ঢাকার একেকটি এলাকায় একেকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য ছিল। কিন্তু এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার কম হওয়ায় খুনোখুনির ঘটনা কমেছে। ২০১৪ সালে ঢাকায় ২৬২টি খুনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু ২০২১ সালে খুনের ঘটনা ১৬৬টি। ৭ বছরের ব্যবধানে খুনের ঘটনা কমেছে ৯৬টি। ২০১৫ সালে রাজধানীতে ২২৬ জন হত্যার শিকার হয়, ২০১৬ সালে ১৬৫ জন, ২০১৭ সালে ২১৮ জন, ২০১৮ সালে ২১৬ জন, ২০১৯ সালে ২০৮ ও ২০২০ সালে ২১৯ জন।
এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী জানান, দেশে আইন থাকলেও তার বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। ওই কারণে নির্যাতনের ঘটনা কমছে না। যারা ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনায় জড়িত তাদের একটি অংশ পাওয়ার রেপিস্ট। তারা প্রভাবশালী অথবা প্রভাবশালীর আশীর্বাদপুষ্ট। আরেক ধরনের ধর্ষক আছে, যারা বিকৃত রুচিবোধ থেকে ওসব করে। সংঘবদ্ধ ওসব নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বিচারপ্রত্যাশী ভুক্তভোগীর আইনি সুরক্ষার বিষয়েও আরো যতœশীল হওয়া জরুরি। তা না হলে ভুক্তভোগীরা বিচার চাইতে আগ্রহী হবে না।
অন্যদিকে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, অপরাধের প্রকৃতি ও ধরন বদলের বিষয়ের ওপর নজর রয়েছে। পেশাদার অপরাধ চক্র অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তাই গুলি বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধের প্রবণতা কমছে। তবে সামাজিক অপরাধ, নারী ও শিশুর ওপর নির্যাতন বন্ধ করার একক দায়িত্ব পুলিশের নয়। মানবিক মূল্যবোধ তৈরি করার পেছনে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে যারা পারিবারিক নির্যাতনের মতো অপকর্মে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া জরুরি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category