• রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ভাঙচুর-জনদুর্ভোগ তৈরি করলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Reporter Name / ৫২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে ভাঙচুর, জনদুর্ভোগ তৈরি করলে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকেন্দ্রে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়, এখন আমরা সেটা লক্ষ্য করছি-এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময়েই মনে করে যে, নির্বাচনের মাধ্যমে পাবলিক ম্যান্ডেটে সরকার বদল হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা অনেক কিছুই দেখেছি, ষড়যন্ত্র দেখেছি। এগুলোর মাধ্যমেও ক্ষমতা বদল হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই মনে করেন সরকার বদল করবার একমাত্র উপায় হলো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে। সেজন্য সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমেই, সেই নির্বাচনকেই আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো একটু সক্রিয় হয়ে যায় কিংবা নানান ধরনের কর্মকা- পরিচালনা করে, যাতে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয় কিংবা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের সময় এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, আমরা দেখেছি নির্বাচনের সময়ে যার যার দলের কথা, ব্যক্তিগত প্রচারণা নিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু হয়ে থাকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন- যেকোনো দল তার কার্যক্রম করবে। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যদি জনদুর্ভোগ তৈরি করে, রাস্তা-ঘাট আটকিয়ে দিলে… আজকে আমি দেখলাম একজন সংসদ সদস্য বলছেন, তার তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে কোনো এক জায়গায় যেতে। তিন ঘণ্টা লাগে কেন, হয় রাস্তার মধ্যে কোনো মিটিং হয় তখন কিংবা খোঁড়াখুঁড়িসহ কিছু ডেভেলপমেন্টের কাজ হয়। যদি কেউ রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে কিংবা গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে কিংবা জনগণের দুর্ভোগ তৈরি করার জন্য তারা যদি কিছু করে তাহলে তো আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে, এটাই স্বাভাবিক। এটা পৃথিবীর সব দেশেই হয়ে থাকে, আমাদের বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, রাজনৈতিক কর্মকা- যদি স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করে, মিটিং করবে, দাবি-দাওয়ার কথা বলবে-আমাদের সরকারের কোনো রকম বাধা দেওয়ার ইচ্ছে নেই এবং আমরা বাধা দিচ্ছিও না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, কোনো এক দলের নেতা বলছেন-আপনারা আসবেন, লাঠিটা নিয়ে আসবেন। লাঠিটা নিয়ে আসার সময় দেশের ফ্ল্যাগটা বেঁধে নেবেন, তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। ইনটেনশনটা কী সেখানে আপনাদের? দেখলাম পুলিশের ওপর লাঠিপেটা শুরু করেছে। আপনারা এই দৃশ্য দেখেছেন, পুলিশ পেটানোর দৃশ্য। এই সমস্ত কিছু হলে তখন তো নিরাপত্তা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। আমরা সব সময় বলে আসছি, সব সময়ই বিশ্বাস করি-জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে আসতে হবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যদি ঘটায়, চেষ্টা করে তাহলে নিরাপত্তা বাহিনী সেটার ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, কোনো ভাঙচুর বা কিছু হয় তাহলে মামলা হবেই। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কালকে একজন বিচারপতির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। বিচারপতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মামলা করেছেন। এই মামলা তো হবেই। এখানে রাজনীতির গন্ধ আনা উচিত নয়। বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না যেয়ে তারা ভাঙচুর করে, যদি জনদুর্ভোগ তৈরি করে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। পুরনো রাজনৈতিক মামলা সক্রিয় হচ্ছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুরনো মামলা রয়ে গেছে। এগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে। পুরনো বলে কিছু না। পুরনো মামলা তো যুগ যুগ ধরে রাখবো না। নতুন করে কিছু হচ্ছে না। পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দক্ষতা ও দেশপ্রেমে ঘাটতির কারণে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। চাকরির ২৫ বছর বয়স হলে যদি কারও কর্ম-দক্ষতার ঘাটতি পড়ে যায়, দেশপ্রেমে ঘাটতি পড়ে যায় তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই পর্যায়ে তাদের দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি ছিল বলে ডিপার্টমেন্ট থেকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, সে যদি কাজ না করে, বসেই থাকে, দায়িত্ব পালন না করে তবে তো দক্ষতা ও দেশপ্রেমে ঘাটতির বিষয়টিই প্রমাণ হয়। এজন্য তাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনের পর পুলিশের পাঁচজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। দেশপ্রেমের ঘাটতিকে আপনারা অ্যালার্মিং মনে করেন কিনা এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, অ্যালার্মিং মনে করব কেন? সরকারের কাছে কিছুই অ্যালার্মিং নয়। সরকার যদি মনে করে তার দক্ষতার ঘাটতি হয়েছে, তাকে দিয়ে কাজ হবে না। খামাখা একটা পোস্ট দখল করে রাখবে কেন? আরেকজন সেই পদে গিয়ে তার দক্ষতা দিয়ে আরও বেশি সেবা দিতে পারবে। সেজন্য এ কাজটি করা। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠান অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতার জেলহত্যা মামলায় বিদেশে পলাতক দ-প্রাপ্ত আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেলহত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত যেসব আসামি বিদেশে আছে, তাদের আমরা দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় অনুযায়ী সাজা কার্যকর করা হবে। সরকার বলছে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে, এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আশা করি সাজাপ্রাপ্তদের ফিরিয়ে নিয়ে আসতো পারবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category