লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে হয়রত আলী গাজী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তাহার আপন ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে মামুনকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (৩০ জুন) সকালে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পে তার গ্রেফতার বিষয় সংবাদ সম্মেলন করেন অতঃপর আসামী মামুনকে অতঃপর র্যাবের পক্ষ হতে রায়পুর থানায় আসামীকে হস্তান্তর করেন। আসমীকে রায়পুর থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া।
এর আগে রোববার (২৯ জুন) রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন রাতে মাদক কেনার টাকা না পেয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে মামুন তার বাবা হয়রত আলী গাজীকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বড় ভাই নুর হোসেন গাজী (৪১) বাদী হয়ে মামুনকে আসামি করে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামুন রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের রশিদ সর্দার ব্রিজসংলগ্ন গাজী বাড়ির বাসিন্দা।
গ্রেফতারের বিষয়টি আজ সকালে প্রেস বিফ্রিংয়ে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, আসামি মামুন মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী। মাদকের টাকার জন্য মামুন তার বাবার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ করতেন।
কয়েকদিন আগেও ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জামিন পেয়ে বাড়িতে ফিরে মামুন তার স্ত্রী ও বাবার সঙ্গে ঝগড়া করেন।
এক পর্যায়ে মামুন তার স্ত্রীকে মারধর করলে বাবা হযরত আলী গাজী বাধা দেন। এতে তিনি তার বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ঘটনার রাতে মামুন তার বাবার কাছে মাদক কেনার টাকা চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরে বৃদ্ধ বাবা এশার নামাজ পড়ার জন্য টিউবওয়েলে ওজু করতে গেলে মামুন ধারালো দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন; এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মামুন পালিয়ে যান৷ পরে স্থানীয়রা আহত হযরত আলী গাজীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়৷
র্যাবের কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু আরও জানান, মামলা দায়েরের পর আসামি মামুনকে গ্রেফতারে অভিযান চালায় র্যাব-১১। রোববার (২৯ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে র্যাব-১১ ও র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানিক দল রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনে থেকে মামুনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তিনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেন। তাকে রায়পুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।