নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে মিয়ানমার থেকে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভেতর থেকেও জঙ্গির উত্থান হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, অতি সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন, মিয়ানমার থেকে ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জোর করে আমাদের দেশে, আমাদেরকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এটুকু বলতে চাই, এই যে ১১ লাখ, এখান থেকেও জঙ্গির উত্থান হতে পারে। তারা ইজি ইন পে হতে পারে টেরোরিস্টদের, যেটা আমরা সবসময় বলে আসি। কাজেই এই প্রবলেমটা যদি শীঘ্রয় শেষ না হয়, তাহলে হয়তো আমাদের নতুন মাত্রার জঙ্গির উত্থান হয়েও যেতে পারে। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী আমরা ঢেলে সাজিয়েছি। আমরা মনে তারা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য তৈরি হয়ে থাকে। সেজন্যই এখন যেকোন বড় ধরনের আক্রমণ তারা আগে থেকে ডিটেক্ট করতে পারছে। আমাদের দেশের জনগণও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন জঙ্গি নিরসনে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশও এগিয়ে আসছে এই কাজে। তাদের টেকনোলজি আমাদের দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এজন্য আমারা আরও সহজভাবে এগুলো করতে পারছি। তিনি বলেন, ভারতের মুম্বাইয়ে হামলা আর ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই রকম বিষয়। একটি গোষ্ঠি জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি। শেষে শেখ হাসিনার উপরও হামলা করা হয়। তারা কারা? যারা পরাজিত শক্তি, যারা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল, যাদের আদর্শ পরাজিত হয়েছিল, তারাই ঘাপটি মেরে বসেছিল। আয়োজনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, মুম্বাইয়ে হামলার ঘটনা আমরা ভুলতে পারিনা। কেননা আর কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। একটি রাষ্ট্র অন্য একটি রাষ্ট্রকে টার্গেট করে এটা করেছে। আর সেসময় এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাঙালিরা আমাদের অনুপ্রেরণা ছিল। এটা বলায় যায় যে ১৯৭১ এবং ২০০৮ এর ঘটনা প্রায় একইরকম। বাংলাদেশ এবং ভারত একসঙ্গে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই পথচলা আরও দীর্ঘ হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ, সাংসদ আরমা দত্ত, শহীদ জয়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এবং বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।