• বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

Reporter Name / ৩৮০ Time View
Update : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে তা এ অঞ্চলের শান্তি ও প্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। গত রোববার রাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে থাইল্যান্ডের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদের জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার এক খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খাদ্য মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। থাইল্যান্ডের সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে থাইল্যান্ড বাংলাদেশেকে সহযোগিতা করে আসছে। এ সময় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ বছর এলডিসি গ্রাজুয়েশনের মাইলফলক অর্জন করেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তর করা। করোনা মহামারিকালে থাই সরকারের সহায়তার কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, সমন্বিত উদ্যোগ করোনার মতো মহামারিকে পরাজিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয় ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে উন্নত রেল, সড়ক, সামুদ্রিক ও বিমান যোগাযোগ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আরও অবদান রাখবে। এ সময় তিনি দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দেন এবং থাইল্যান্ডের জনগণকে জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিজ মাকাওয়াদি সুমিটমোর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ দুটি রাষ্ট্রই নিজেদের জনকল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে বিগত পাঁচ দশক ধরে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category